বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা বগা আরএসডি-বাহেরচর জিসি সড়কে রাস্তা নির্মাণের একদিন পরই ধ্বসে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকা বাসীর মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরে উপজেলার বগা থেকে কাছিপাড়া সড়কটি প্রশ্বস্তকরণের উদ্যোগ নেয় এলজিআরডি। একাধিক প্যাকেজের মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে সড়কটি ১০ ফুট থেকে ১৮ ফুট বর্ধিতকরনের কাজ শুরু হয়।
পরে নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার করাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও বিস্তর অভিযোগ ওঠে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামে।
পরে মঙ্গলবার শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি পরিদর্শনকালে দেখা যায় বর্ধিত অংশের একাধিক স্থান ডেবে হেলে গেছে। আবার কোথাও ধ্বসে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকান প্যাদা ও মোকছেদুল ইসলাম বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের দুই পাশে পাইলিং প্রয়োজন হলে সড়ক নির্মাণের আগেই তা করতে হয়।
কিন্তু ঠিকাদার সড়কের সাববেইজ ও ম্যাকাডাম করার পর পাইলিং নির্মাণ করেছেন। এরপর ইট ভাঙার ডাস্ট দিয়ে রোলার মেশিন ব্যবহার না করেই কার্পেটিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী কথা বলতে গেলেই ঠিকাদারের লোকজন ধমক দিয়ে নিবৃত করেছেন।
তারা বলেন, কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় কার্পেটিং করার পরের দিনই একাধিক স্থানে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন রোববার কার্পেটিং করা হয় আর সোমবারই ধ্বসে পড়ে।
কাজী নুরুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যাক্তি বলেন, এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না। সিডিউল না মেনে নিম্মমানের উপকরণ দিয়ে নামমাত্র কাজ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্মানকাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের ৬৬৮৫ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন খায়রুল কবির রানা নামের একজন নির্মাতা।
আমাদেরকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় সেভাবেই কাজ করছি আমরা। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবুল কালাম বলেন, যে অংশ ধ্বসে পড়েছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে এলজিআরডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন প্রতিনিধিকে বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতেই পারে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়নি।
যেখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেখানে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ আদায় করার পরই বিল দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।