বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীতে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তার হলেন আমেরিকান প্রবাসি জাহাঙ্গীর কবির ওরফে মাহবুবুর রহমান তালুকদার।
গত ২৪ জানুয়ারী পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের এএসআই মোঃ হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্স সহ বেলা ১টার দিকে পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস সড়ক এলাকা থেকে আসামি জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার করে একই দিন বেলা ২ টায় কোর্টে সোপর্দ করেন।
আসামি জাহাঙ্গীর কবির বরিশাল আলেকান্দার তালুকদার লস্কর লুসা সড়ক এলাকার ফজলুর রহমান তালুকদারের ছেলে। সূত্রে জানা গেছে, আসামির স্ত্রী রাবেয়া বেগম গত.৩ নভেম্বর ইং তারিখ বাদী হয়ে মোকাম-বিজ্ঞ সি,জি,এম আদালত ঢাকায় এই যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং সি আর ১১৪৫/২৪ ইং। রাবেয়া পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের তাফাল বাড়িয়া গ্রামের আঃ রব হাওলাদারের মেয়ে।
বাদীর মামলা সূত্রে জানা যায়, গত- ২৩ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর আসামির বর্তমান ঠিকানা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা পূর্ব পাড়ার ভাড়া বাড়িতে বসে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।
রাবেয়া জাহাঙ্গীর দম্পত্তির সংসার কিছুদিন ভালো চল্লেও হঠাৎ করে রাবেয়ার সংসারে শুরু হয় আসামির যৌতুকের নির্যাতন। আসামি জাহাঙ্গীর ব্যবসার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করে বাদীর পরিবারের কাছে।
টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাবেয়ার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন। জানাগেছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ শাসন আমলে আসামি জাহাঙ্গীরের বড়বোন জাকিয়া সুলতানা বেবি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকায় রাবেয়া কোথাও সুবিচার পায়নি।
এদিকে আসামি জাহাঙ্গীর যৌতুকের টাকা না-পেয়ে রাবেয়াকে ঢাকার ভাড়া বাসায় ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর বাদী রাবেয়া স্বামী জাহাঙ্গীরকে ভবোঘুরের মতো খুজতে থাকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে।
এবং জানতে পারে আসামি জাহাঙ্গীর রাবেয়া ছাড়াও একাধিক বিয়ের পিড়িতে বসেন। বাদীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসামি জাহাঙ্গীর এপর্যন্ত রাবেয়া সহ চার বার বিয়ের পিড়িতে বসে।
যার মধ্যে পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার বাহের চরের মাকসুদা দিবা, আমেরিকান প্রবাসি মীরা ও ঢাকা মুগ্ধা পাড়ার সপ্না। এবং আরো জানতে পারে, আসামি জাহাঙ্গীর নিরুদ্দেশ হওয়ার পর আমেরিকা চলে যায়।
মামলার বিষয় রাবেয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী জাহাঙ্গীর কবির যৌতুকের দাবিতে আমার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে। আমি এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়েও কোথাও সুবিচার পাইনি। কারন তৎকালীন সময় আমার স্বামীর বড়বোন আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী ছিলেন। এখন আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।