বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার অফিসে হামলার প্রতিবাদে পটুয়াখালীসহ বাউফলেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ।
গত মঙ্গলবার (৩রা ডিসেম্বর) রাত্রে পটুয়াখালী জেলা শহরের তিতাস পাড়া এলাকায় পরে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে দুটি আলাদা আলাদা বাউফলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে তিতাস পাড়া ফুটমেলা রেস্তোরাঁর সামনে এসে সমাপ্ত হয়।এছাড়াও বাউফল হাসপাতাল সড়ক থেকে সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা সংলগ্ন ইলিশ চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে সমাবেশে ছাত্ররা হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন, শিবলী সাদিক, মোঃ আল আমিন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় সনাতনীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ভারতবাসীকে বলতে চাই, এদেশে আর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নেই। সুতরাং তারা যেন আওয়ামী লীগের আমলের মতো করে এদেশে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা না করে।বাংলাদেশের কোন সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতন করা নয়।
আমরা বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়েছি, পাকিস্তানের বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। দেশের প্রশ্নে আমরা আবারও লড়াইয়ে নামতে রাজি আছি। শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
যেভাবে আমরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি সেভাবেই আমরা দিল্লির আগ্রাসনও রুখে দেব। ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।
এর আগে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বাউফল সরকারি কলেজের সামনের সড়কে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।এতে বক্তব্য রাখেন, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ নাঈম, মোঃ রাহাত। ঐ সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটা সভ্যদেশ কখনো অন্য দেশের দূতাবাসে হামলা করতে পারে না।
ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দিল্লির সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে। আমরা গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি দিল্লির দাদাদের দাদাগিরি করার জন্য না।
আমরা সবাই বাংলাদেশি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা জাতপাত সব ভুলে আমাদের পরিচয়, আমরা বাংলাদেশি এমনটাই জানান ছাত্র সমাজ।