স্টাফ রিপোর্টার ॥
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর কারিগরি ও আর্থিক সহযোগীতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) বরিশাল জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জনাব শহিদুল ইসলাম । সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বরিশাল গৌতম বাড়ৈ। সভা পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালত একটি প্রাচীনতম বিচার ব্যবস্থা।
পরবর্তীতে যা আইন হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে একটি শক্তিশালী ভিত্তি লাভ করেছে। বর্তমানে এর ক্ষতিপূরণের সীমা পঁচাত্তর হাজার টাকা থেকে এখন সব্বোর্চ তিন লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
যার ফলে গ্রাম আদালত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ মূলত গ্রাম আদালতের পেশকার হিসাবে কাজ করছে। আদালতের পেশকার হিসাবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয় করতে হবে যাতে গ্রামের অসচ্ছল জনগন গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সল্প সময়ে ও অল্প খরচে ন্যায় বিচার পেতে পারে। গ্রামের জনগন যাতে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানীর শিকার না হয়ে সহজেই বিচার পেতে পারে এই লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পেশকার এটি সম্মানিত পেশা এই পেশা যাতে প্রকৃত অর্থে পালন করতে পারে তার জন্য আইন ও বিধি ভালভাবে জানতে হবে। এজন্য নিজেকে দক্ষ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করতে হবে।
গ্রাম আদালতের পেশকার যদি ভালভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সঠিকভাবে গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় অংশগ্রহণ করেন বরিশাল জেলার ৮৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ ও সচিবগণ।
সভায় বরিশাল জেলার ৮৮ টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালত বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিক অগ্রগতি উপস্থাপন করেন প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক কমল ব্যানার্জী। সভাপতির বক্তৃতায় উপ-পরিচালক জনাব গৌতম বাড়ৈ বলেন গ্রাম আদলত কে জনপ্রিয় করতে হলে স্থানীয় জনগনকে সচেতন করতে হবে।
তিনি সকলকে গ্রাম আদালতের সকল ডকুমেন্টস , নথি হালনাগাদ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এসডিসি), জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, স্থানীয় সরকার শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী বৃন্দ। সভা শেষে গ্রাম আদালতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য একটি কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।