বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
ফেইসবুকে ফ্রিলান্সিং এর নামে চলছে নিরব প্রতারণা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং কোর্স করে দেখানো হয়েছে মাসে হাজার হাজার টাকার ইনকামসোর্স,এতে আকৃষ্ট হবেন যে কেউ।
তবেঁ ফ্রিলান্সার লিজার টার্গেট ছিলো অজ্ঞ সাধারণ নারী,শিক্ষায় বাধাগ্রস্ত এবং আর্থিক ও পারিবারিক সমস্যায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কোর্সের নামে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
তার ফাঁদে পড়ে ঢাকা, সিলেট,রাজশাহী,কুমিল্লা, খুলনা,চট্রগ্রাম, বরিশাল সহ্ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে লিজার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
প্রতারণায় শিকার হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী লিখেন। Leading light it batch ২৫ আমি আমার টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, যেখানে আমি এই পেইজে এডমিশন নিয়েছি নিজের টাকার বিনিময়ে এবং যেখানে লাইফটাইম সাপোর্টের কথা বলে ভর্তি করিয়েছে তাই এই পেইজ যতদিন থাকবে আমিও সেখানে ততদিন থাকবো।
তাহলে আমাকে কেন এখান থেকে কেনো কারন ছাড়াই রিমুভ করা হলো আরেক পার্ট আমাদের এডভান্সের নামে ব্যাসিক ভিডিও তাও আবার ইউটিউব ইউনিভার্সিটির আরো অন্যান্য মেন্টরের কপি রেকর্ড করে দিয়েছে।
এছাড়া উনি কোর্সের নামে সিলেবাস প্রকাশ করেন না আর ক্লাসে বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে সময় নষ্ট করেন আর মার্কেটিং এর নামে লাইক,সাবস্ক্রাইব এর বিনিময় ভিক্ষাবৃত্তি শিখায়, আইডি কেনা বেচা শিখায়। মার্কেটপ্লেসে ওনার কোনো প্রপার ক্লাস থাকেনা।
ইউটিউবের রেকর্ড এর মাধ্যমে ওয়াচ আওয়ার কাউন্ট করতে! আবার আমি তার থেকে লিংকেডিন শিখিনি। নিজে নিজে শিখে আমার নোটসে তার ই ওল্ড স্টুডেন্ট দের নন স্টুডেন্ট দের শিখাতে আসায় আমাকে শাসানো,থ্রেট দেয়া। যে আমার বিরুদ্ধে স্টেপ নিবে,আমি কি এখানের মেন্টর না এডমিন কাকে কতটা শিখাবে সে ভালো বুঝবে।
নন স্টুডেন্ট দের সাথে আমি এত ঘনিষ্ঠতা কেন করি! আমি ফারদার আমার কোনো এক্টিভিটিজ পেলে আমাকে সব ফ্যাসিলিটিজ থেকে বহিস্কার করবে! এসবের থ্রেট, আবার ওনার এতই ইনসিকিউরিটি যে, ওনার পারমিশন ছাড়া কোনো ব্যাচ,গ্রুপ আলাদা গ্রুপ করতে পারবেনা ,করলেও তার পারমিশন আর তার একজন এডমিন এড রাখা লাগবে যেন কোর্স মেন্টরের এত কন্ট্রোল ইনসিকিউরিটি প্রমান করে উনি স্ক্যামার, সত্যি উম্মোচনের ভয়ে সবাইকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়া তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে তার গ্রুপ সচ্ছ রাখতে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তাদের সহ সব ওল্ড স্টুডেন্টদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে কোর্স শিখানোর নামে সময় নষ্ট করে মিথ্যা অভিযোগে তাদের সব গ্রুপ থেকে ব্যান করে দিয়েছে।
এছাড়া ওনার মার্কেট প্লেসের একাউন্ট থেকে জানা যায় উনি মার্কেট প্লেসের কোনো কাজ করেন না ফেইক আর্নিং,অর্ডার দেখিয়ে মেয়েদের আকর্ষণ করে কোর্সে আসতে প্ররোচিত করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং তার কোর্সের প্রত্যেক ব্যাচে স্টুডেন্ট সংখ্যা ৮০০থেকে এক হাজার এবং তার কোর্স ফি বতর্মানে ৭হাজার টাকা সবাইকে মিথ্যা মামলা,আইনের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রেখে অনেক অবৈধ সম্পদের পাহাড় করে চলেছেন। কোর্সের নামে লিজার টার্গেট সাধারণ নারী যারা অজ্ঞ,শিক্ষায় বাধাগ্রস্ত, আর্থিক ও পারিবারিক সমস্যায় ভুক্তভোগীদের।তদন্ত থেকে জানা গেছে, সে তার গ্রুপে কোন নেগেটিভ কমেন্ট সহ্য করে নাহ, কেউ কিছু বললে সে ব্যান করে দেয়। সব সময় পজেটিভ জিনিস পোস্ট করা হয়।
লাইফ টাইম সাপোর্ট এর কথা বলে,তার বিরুদ্ধে কথা বললেই সব পেইড গ্রুপ বা কিছু করতে চাই নামক গ্রুপ থেকে ব্যান দেয়।
এবং অন্য স্টুডেন্ট দিয়ে আমাদেরকে গালমন্দ করায়।
এ ছাড়াও ফ্রিলান্সার লিজার প্রতারণার বিরুদ্ধে অধিকাংশ ভুক্তভোগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্রিলান্সার লিজার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন,এরপর বার বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।