কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে গরমের তীব্রতা। গতকাল জেলার কলাপাড়া উপজেলায় দেশের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচন্ড খড়তাপে মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তপ্ত রোদে মৌসুমী সবজী চাষিরা রয়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়।
এদিকে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মাঝে লক্ষ্য করা গেছে বিরক্তির ছাপ। একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই ছুটছেন নদীর পাড়, গাছতলা কিংবা ডাব এবং শরবতের দোকানে।
হাসপাতাগুলোতে বেড়েছে গরম জনিত রোগীর সংখ্যা।
তবে দুই এক দিনের মধ্যে বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
কলাপাড়া পৌর শহরের পঞ্চাশোর্ধ রিকশা চালক সালেক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমের কারণে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীও কম তাই বিপদে আছি।
কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, তীব্র তাপদাহে দিনের বেলা হোটেল থেকে বাহিরে বের হওয়া যাচ্ছে না। এটা পর্যটকদের জন্য
কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক ফজলু মিয়া বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি ও শসার চাষ করেছি।
রোদে গাছের গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদের তেজ আরও বাড়লে গাছ মরে যাবে। তাহলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।’
কলাপাড়া ঝড় সতর্কিকরণ রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, ‘আজ কলাপাড়ায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এ জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তবে উপকূলে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে। উপকূলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বা ঝড়ো বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে।’