কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসার সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা।
ফ্রাই মার্কেট, ফুচকার দোকান, ঝিনুক মার্কেট, পোশাকের দোকান, আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেল সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে বিক্রির ধুম।
এছাড়া সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ঝাউ বাগান,
চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চর সহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকের উচ্ছাসিত উপস্থিতি।
বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত বরন ও ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে।
আগত পর্যটকরা সৈকতের বেঞ্চিতে বসে, অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে, কেউ বেঞ্চিতে বিভিন্ন বাহন চরে, অনেকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে হই হুল্লোড়ে মেতেছেন। সৈকতে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটস সদস্য, ট্যুরিষ্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি রিমি-সোহান আজকের পত্রিকা কে জানান, এর আগে অনেকবার কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি। কিন্তু এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অন্য সময়ের তুলনায় একটু ভালো দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা স্কাউটস সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে স্কাউটস কমিটির সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে ।
এবারের ঈদে এবং পহেলা বৈশাখে আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্কাউটস কাজ করে যাচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করেছি।
নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ৪০ জন রোভার স্কাউট সদস্য পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। আশা করছি, পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবেন।
জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.জিয়াউল হাসান সৌরভ আজকের পত্রিকাকে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি উপজেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক বিএনসিস, রোভার স্কাউট এবং স্কাউটস সদস্যদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের ছুটি এবং পহেলা বৈশাখে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিএনসিসি,রোভার স্কাউটস এবং স্কাউটস সদস্যদের পাশাপাশি সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ, ইভটিজিং ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।