কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পর্যটক বরণে প্রস্তুত হচ্ছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
ঈদ-পরবর্তী পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে।
পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থান পাচ্ছে নানাবিধ নতুন নতুন বাহারি পণ্য। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।
প্রকৃতি যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকছে পর্যকদের। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ,নৌ-পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ, স্কাউটস সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, লেম্বুরবন, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানসহ দর্শনীয় স্পটগুলো পরিপাটি করা হয়েছে। সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা, পুরো এলাকা ঝকঝক করা হয়েছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য নজর কাড়বে আগত পর্যটকদের।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পর্যটক না থাকায় হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থকবে। তাই আগে ভাগেই হোটেল-মোটেলগুলো সাজিয়ে নিচ্ছে মালিকরা্
উপজেলা স্কাউটস সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে স্কাউটস কমিটির বৈঠক হয়েছে। এবারের ঈদে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্কাউটস কাজ করে যাবে।
কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,বিএনসিসি,রোভার স্কাউটস এবং স্কাউটস সদস্যদের পাশাপাশি সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে বলে তিনি জানান।