সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
একটি মাত্র উপজেলা ‘বাউফল’ নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ১১৪পটুয়াখালী-২ আসনটি। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত আসনটি। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসন ধরে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। আসনটি থেকে সাত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ। উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘকাল আবর্তিত হচ্ছে তাকে ঘিরে। পরিচিত রয়েছে ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে। সাংগঠনিক দক্ষতায়, যোগ্যতায় এবং ভক্ত, অনুসারী ও সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন সংসদের হুইপ, চীফ হুইপ ও প্যানেল স্পিকারের। এছাড়াও একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতিও ছিলেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র ও সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে সংগঠনিক শক্তি ও এলাকায় জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আ.স.ম ফিরোজই নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে প্রথম বার নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আ.স.ম ফিরোজ। ওই বছরই হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। দীর্ঘ ৪৪বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে গুনে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকও। এযাবৎ ৯বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। যার মধ্যে ৭৯,৮৬, ৯১,৯৬, ০৮, ১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ৯৬’তে একবার ভোট আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আর ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে হেরে যান আ.স.ম ফিরোজ। বিশিষ্ট এ সংসদ সদস্য নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও দ্বশম জাতীয় সংসদের চীফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও মৎস সম্পদ সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন।
একাদশ সংসদের সংসদীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতিও তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল সূত্র জানায়, ৪৪বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ.স.ম ফিরোজ এমপি। তার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী পরিবার অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলা, পৌর ও ১৫টি ইউনিয়ন এবং এর আওতাধীন ১৪৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ৮টি সংগঠনের কমিটি রয়েছে। এসব কমিটির সর্বনি¤œ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট। যাতে ৬৬ হাজার নেতাকর্মীরা রয়েছে। এর বাহিরেও রয়েছে বিশাল আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠি। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুই জন জেলা পরিষদ সদস্য ও ১০জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য ইউপি সদস্য আ.স.ম ফিরোজের অনুসারী। যার কারণে কর্মী সমর্থকের দিক থেকে আ.স.ম ফিরোজ সংগঠনিক ভীত অত্যন্ত শক্তিশালী।
এদিকে নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে গত ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশ প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। নারীদের নিয়েও পৃথক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে নারী সমাবেশ করা হয়। এতে মহিলা লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাসহ প্রান্তিক নারীরা উপস্থিত হন। ইতোমধ্যে ১৩টি ইউনিয়নে এ নারী সমাবেশ করা হয়েছে। এসব সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ.স.ম ফিরোজ এমপি। তিনি তার বক্তব্যে নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান ও দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান। উপস্থিত নারীরা নৌকায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুত দেন। দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আ.স.ম ফিরোজকে প্রাধান্য দিয়ে ই নির্বাচনী ছক সাজানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করে তা কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমাও দেয়া হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে ভাবনা ও সংগঠনিক শক্তি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তৃণমূল আওয়ামী লীগে ব্যাপক জনপ্রিয় আ.স.ম ফিরোজ এমপি। উপজেলা থেকে ওয়ার্ড সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে তার।
এ কারণে দলের একক প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন তিনি। কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ বলেন, আ.স.ম ফিরোজ এমপি প্রায় ৪৫ বছর ধরে এ জনপদে বিচরণ করে আসছেন। তিন প্রজন্ম তার হাত ধরে রাজনীতি করে আসছেন। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তার বিকল্প নেই। দল তাকেই মনোনয়ন দিবেন। বিপুল ভোটে বিজয়ও হবেন।
ধুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মু. হুমায়ূন কবির বলেন, আ.স.ম ফিরোজ একজন সফল রাজনীতিবিদ। যার রাজনীতির জীবন কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন এবং শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিবেন।
বরিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহজাহান সিরাজ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আ.স.ম ফিরোজ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি বরিশাল বিএম কলেজের দুই বারের ভিপি ছিলেন। ৭৯ সালে তিনি প্রথম বার যখণ এমপি নির্বাচিত হন তখন সংসদের সর্বকনিষ্ঠ এমপি ছিলেন। আজ তিনি সংসদের অন্যতম বর্ষীয়ান সংসদ সদস্য। যা সম্ভব হয়েছে তার রাজনীতিক দক্ষতায়। তার দক্ষতা,যোগ্যতা ও সততার বিবেচনায় আগামী দ্বাদশ নির্বাচনেও তিনি নৌকার কা-ারী হবেন এবং এ আসনটি শেখ হাসিনাকে ৮ম বারের মত উপহার দিবেন। বলা হয়, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য নিরাপদ আসন। আওয়ামী লীগের যে কয়টি আসনে জয় নিশ্চিত তার মধ্যে এ আসনটি অন্যতম। যে কোনো পরিস্থিতিতে আসনটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। আর এ আসনটিতে আ.স.ম ফিরোজের উপর আস্থা রেখে বার বার দল তাকে নৌকার মাঝি করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামসুল কবি নিশাত বলেন, আ.স.ম ফিরোজ বিএম কলেজের ছাত্রলীগের দক্ষ সংগঠক ছিলেন। ছাত্র সংসদের (বাকসু) ভিপি ছিলেন দুই বার। ৭৯ সালে প্রথম বার বাউফল থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বাউফলকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিনত করেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। তার হাতে বাউফল আওয়ামী লীগ নিরাপদ। দলীয় নেতা কর্মী ও জনগণের আস্থায় তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। যার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে ৯বার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি বার বার নির্বাচিত হয়ে দলের আস্থা ধরে রেখেছেন। শুধু সাংগঠনিক ভীত নয়। জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছেন এ সংসদ সদস্য। আসনটি থেকে জনগণের বিপুল ভোটে তিনি ৭বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ এ সময় তিনি বাউফল উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বলা হয়- বাউফলে যা উন্নয়ন হয়েছে সবই আ.স.ম ফিরোজের হাত ধরে। উপজেলায় ২২শ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য মাটির সড়কও নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন সেতু, কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, ঘাট ও গ্রামিণ অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। চারতালা উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা মডেল মসজিদ (নির্মাণাধীন), উপজেলা পরিষদ হলরুম, মডেল থানা ভবন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ উপজেলার ১১টি কলেজ, ৬৬ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬৭ মাদ্রাসা ও ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হয়েছে। ধুলিয়ায় নদী ভাঙন রোধে ৭১২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। তেঁতুলিয়া নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়েছে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাও করেছেন আ.স.ম ফিরোজ। রাস্তা-ঘাট, পোল- ব্রিজসহ ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে পিছিয়ে পড়া চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০শয্যায় উন্নতিকরণ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমউনিটি ক্লিনিকে ভবনসহ সেবার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন আ.স.ম ফিরোজ।
চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা বলেন, চন্দ্রদ্বীপ একটি অবহেলিত জনপদ। যার চারপাশে তেঁতুলিয়া নদী। আ.স.ম ফিরোজ এমপি এ অবহেলিত জনপদকে ইউনিয়ন হিসেবে মর্যাদা দেন। আজ চন্দ্রদ্বীপে তার হাত ধরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চন্দ্রদ্বীপের মানুষের জীবন মান বদলে গেছে। চন্দ্রদ্বীপের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। রাস্তা ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তার এখানকার মানুষ কল্পনাও করেনি। বাউফলের উন্নয়ন, তার সততা, স্বচ্ছতা, আদর্শ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চর্চার কারণে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয়। উপজেলার শিক্ষক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গসহ সকল মানুষ তার রাজনীতির গুনে মুগ্ধ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামসুল আলম মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে। আ.স.ম ফিরোজ এমপি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সম্মুখে থেকে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৯নং সেক্টরের চীফ পলিটিক্যাল মটিভেটর ছিলেন। তিনি বাউফলের মুক্তিযোদ্ধার জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। বীর নিবাস দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবন নির্মাণ করেছেন। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নিজম্ব তহবিল থেকে সহায়তা করে থাকেন। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধারা সাথে আছেন। কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন সিকদার জামাল বলেন, তিনি (আ.স.ম ফিরোজ) একজন শিক্ষক ও শিক্ষা বান্ধব নেতা। শিক্ষার মান উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষে তিনি কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পরিদর্শনসহ শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ তিনি করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক বলেন,‘ আ.স.ম ফিরোজ বাউফল আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ। তার ছায়া তলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা নিরাপদ। তিনি যেমন কর্মী বান্ধব, তেমন দক্ষক সংগঠক। তার নেতৃত্বগুনো এ আসন থেকে ৭বার নৌকা বিজয় লাভ করেছে। এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। আগামী নির্বাচনেও তিনি নৌকার মাঝি হবেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে থেকে কাজ করবো। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস -চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান বলেন, আ.স.ম ফিরোজ দীর্ঘদিন এ জনপদে রাজনীতি করছেন। এখনকার প্রতিটি বাড়ি, রাস্তাঘাট তার চেনা। তার হাতেই এই বাউফলের সকল উন্নয়ন হয়েছে। এখনো অসংখ্য উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দিনে তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হবেন। এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপি বলেন,‘ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ^াস করি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন দেশের সংবিধান মেনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবেন। বিএনপির উচিত সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নেয়া। যদি তারা ২০১৬ ও ২০১৮ সালের মত নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে এজন্য তাদের পস্তাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে ৯বার মনোনয়ন দিয়েছেন। ৭ বার নির্বাচিত হয়েছি। একবার নির্বাচন হয়নি। আরেক বার প্রহসনের নির্বাচনে আমাকে হারানো হয়েছে। আগামী দিনেও দলের জন্য কাজ করে যাব। দলও আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন।