বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে ৩ বছরের পুত্র সন্তানকে রেখে স্বামীর জমানো অর্থ ও স্বর্নলংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও কেয়া বেগম (২২)। পরকীয়া প্রেমিকের নাম আরাফাত সে লাউকাঠী ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুন মৃধার ছেলে কেয়া দুমকি উপজেলার
এ বিষয়ে কেয়ার স্বামী মাহিদুল সিকদার পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩’য় আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫৯/২০২৩ ইং, ধারা-১০৯/১৪৩/৩৮০/৪৪৭/৪৪৮/৪৯৭/৪৯৮.
মামলা সুত্রে আসামিরা হলেন, ইমরান মৃধা (২৫), পিতাঃ মৃত হারুন মৃধা, কোহিনূর (৫০), স্বামী মৃত হারুন মৃধা, কেয়া (২২), স্বামী মাহিদুল সিকদার, নান্নু খাঁন (৩৫), পিতাঃ হাফেজ খাঁন, আরাফাত (২১), পিতাঃ লাল মিয়া, জাহাঙ্গীর মৃধা (৫০), পিতাঃ মৃত আঃ রহমান মৃধা।
গত ২৭/০৬/২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে দুপুর ১.৩০ ঘটিকার সময় বাদীর বসত ঘরে, এবং ১৪/০৭/২৩ ইং শুক্রবার বাদীর বসত ঘরের বারান্দায় দুই দফায় ঘটনাটি ঘটে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে , কেয়া বেগম (২২), পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে তিন বছরের পুত্র সন্তানকে খালি ঘরে ফেলে রেখে জমানো অর্থ ও স্বর্নলংকার নিয়ে প্রেমিক ইমরান মৃধা ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় গত ২৭’জুন পালিয়ে যায়। এসময় ১ ভরি স্বর্নের চেইন মুল্য ৮৫ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্নের হাতের রুলি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্নের কানের দুটি ঝুমকা ৮৫ হাজার টাকা এছাড়াও বিভিন্ন মুল্যের নোট ৭ লক্ষ ৫০ হাজর টাকা নিয়ে যায়।পরবর্তীতে খোজাখুজি করে গত ১৪’জুলাই পারিবারিক সালিশ মিমাংসা করার কথা বলে আসামিরা বাদীকে বউ ও স্বর্নলংকার কোনটাই ফেরত দিবে না বলে হুমকি দেয়। এর আগে পরকীয়ায় জরিয়ে কেয়া বেগম কলেজের কথা বলে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও আবাসিক হোটেলে প্রেমিক ইমরান মৃধার সঙ্গে শারিরীক মেলামেশা করে। কয়েকবার স্বামীর নিকট ধরা পরলে এনিয়ে পারিবারিক ভাবে সালিশ মিমাংসা করা হয় ৩ বছরের পুত্র সন্তানের দিকে তাকিয়ে স্বামী মাহিদুল সিকদার সব কিছু নীরবে মেনে নেয়। উপস্থিত সালিশি গনের সামনে কেয়া বেগম বলেন তিনি এধরণের জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকবে বলে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়। বাদী মাহিদুল সিকদার ও আসামি কেয়ার সঙ্গে ২০১৯ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়েছিলো তাদের ঔরসে আবু সাইদ নামের ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।