সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
এস আলামিন পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরআন্ডা গ্রামে লামিয়া (১২)কে গত ০৬-০১-২৩ রোজ শুক্রবার ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। শিশু লামিয়ার মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার হয়েছে।১৩-১-২৩ইং রোজ শুক্রবার দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মোহনায় জেলেরা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
গত শুক্রবার রাতে রাঙ্গাবালীর চরআন্ডা গ্রামে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এগারো বছরের শিশু লামিয়াকে। পরে লাশ গুম করতে ফেলা দেওয়া হয় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে । পরদিন এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আল আমিন।
এবিষয়,রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, শিশু লামিয়াকে ধর্ষণ এবং হত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন।
এ ঘটনায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে। ঘটনার পর থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য কাজ করে পুলিশ। অবশেষে সোনার চর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।