শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন তারা।
আজ বেলা ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদীবন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ করে। পরে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে নৌবন্দরে যায়।
সেখানে শ্রমিক নেতারা ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো – নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ শতাংশ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
এসব দাবি তুলে সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আযাদ, শ্রমিক জোটের সমন্ময়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদারসহ অন্যান্যরা।
এসময় বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, আজ ২৬ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা।
বরিশাল বিভাগের শ্রমিকরাও এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।