বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা কৃষকলীগে অভ্যন্তরীন কোন্দল এখন চরমে। সভাপতিকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে ১৫ সদস্য কো-অপ্ট করে নতুন গঠিত গঠন করেছেন সম্পাদক। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ শওকত হোসেন সানু ১৪ জুলাই’২২ আ’লীগ অফিসে তার অনুজ মীর তারিকুজ্জামান তারাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও খাইরুল আমিন তালুকদারকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ঘোষনা করে নতুন এ কমিটি ঘোষনা করেন। কিন্তু এর ছয়দিন পর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী আলী হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরদার সোহরাব হোসেন নতুন এ কমিটি গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বলে বাতিল করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখেন। এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অসমাপ্ত ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ করে উপজেলা সম্মেলন করার জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহিদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো: আখতাউর রহমান হারুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ’কলাপাড়ায় কৃষকলীগের নামমাত্র পকেট কিমিটি ছিল। তিনি সংগঠন চাঙ্গা করেছেন। বিএনপি’র অনুপ্রবেশকারী সহ-সভাপতি মোতালেব ফকির (সদ্য বহিস্কৃত) এবং জাতীয় পার্টির অনুপ্রবেশকারী মীর তারিকুজ্জামান তারা সংগঠনে এসে ষড়যন্ত্র করে তাকে বাদ দিয়ে অবৈধ কমিটি করেছে, যা জেলা কমিটি বাতিল করে পূর্বের কমিটি বহাল রেখেছে।’ প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ’কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তারার বড় ভাই সৈয়দ শওকত হোসেন সানু তার অনুপ্রবেশকারী আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে কৃষকলীগের কমিটি গঠন করেছে।’ এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, উপজেলা জেলা কৃষকলীগ সদস্য অ্যাডভোকেট মো: আনোয়ার হোসেন, পৌর কৃষকলীগ সভাপতি সৌরভ সিকদার, সম্পাদক দোলন ঢালী সহ কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক মীর তারিকুজ্জামান তারা বলেন,’তিনি ১৯৯১ সালে আ’লীগের সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমানের হাত ধরে সহযোগী সংগঠন যুবলীগে যোগ দেন। সেই থেকে আছেন। এরপর কৃষকলীগের সম্পাদক হন।’ মীর তারিকুজ্জামান আরও বলেন,’ আখতাউর রহমান হারুন কখনও আ’লীগ করেন নাই। ২০১৬ সালে হঠাৎ করে আমার ভাইকে ধরে তিনি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হন। এরপর বিএনপি পরিবার থেকে একজনকে পৌর কৃষকলীগের সম্পাদক বানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাকে বাদ দেয়া হয়। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি একজন বহিস্কৃত, অপর একজন অসুস্থ্য এবং একজন প্রয়াত হওয়ায় জেলা ও কেন্দ্রের সাথে পরামর্শ করে প্রয়াতদের শূন্যস্থানে নতন করে ১৫জনকে কো-অপ্ট করা হয়েছে। এ সভায় উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’ তবে মীর তারিকুজ্জামান’র উত্থাপিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আখতাউর রহমান হারুন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ শওকত হোসেন সানু’র বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।