মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
ক্রাইম সিন ডেস্ক: বাকেরগঞ্জে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে হাইব্রীডদের নিয়ে উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে অভিযুক্ত খোদ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও জেলা দক্ষিন বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি আবুল হোসেন। দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের অভিযোগ আবুল হোসেন নিজ ভাইয়ের ছেলে বিপু ও তার জামাতা নামে পরিচিত সাইদুর রহমান রুবেল কে পদ দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠনের জোড় চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবুল হোসেনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা যুবদলের একাধিক নেতা কর্মী জানান দলের ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও এর অংঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের কাজ চলছে সারা দেশে। এরই ধারাবাহিকতায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়।
কিন্তু শুরু থেকেই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন তার ভাইয়ের ছেলে ও তার কথিত জামাতা-কে শীর্ষ দুটি পদ দেওয়ার জন্য জোড় তদ্বির লবিং চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে একটি তালিকাও প্রেরন করা হয়েছে। নেতা কর্মীরা আরো জানান আবুল হোসেনের ভাইয়ের ছেলে বিপু ও কথিত জামাতা রুবেল কোন মতে ছাত্রদলের সদস্য ছিলো। তারা কোন পদধারী ছিলো না। এমনকি চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তাদের পাওয়া যায়না। তারা কোন ভাবেই উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটিতে আসার যোগ্যতা রাখে না।
দলে অনেক ত্যাগী নেতা আছে যারা নিয়মিত আন্দোলন সংগ্রামে সক্রীয় অংশ গ্রহন করে এবং যারা একাধিকবার মামলা হামলার স্বীকার হয়েছে। এ বিষয়ে তারা জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক খলিল সিকদার বলেন, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তিনি পুরো বাকেরগঞ্জ বিএনপিকে নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিনত করেছেন। অর্থের বিনিময়ে নিজ বাসায় বসে সকল কমিটি গঠন করেন। এটা দলের সবার জানা। কমিটিতে স্থান পেতে হলে দলীয় কোন অবস্থান বা যোগ্যতা লাগে না আবুল হোসেনের লোক হলেই হয়।