শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
ক্রাইম সিন ডেস্ক: এয়ারপোর্টে ইয়াবাসহ প্রবেশের চেষ্টা ও আলামত নষ্ট করার অভিযোগের মামলায় ঝালকাঠি সদরের কেওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক শামীম আহমেদ তাকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান সদর উপজেলার সারেংগল গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন খানের ছেলে।
জিআরও বৈচি বিশ্বাস জানান, গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল পৌনে ৪টায় নভো এয়ারের বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান যাত্রী আবু সাঈদ খান এয়ারপোর্টে সর্বশেষ চেকিং গেট অতিক্রমকালে স্ক্যানার মেশিনে তার ব্যাগে থাকা গ্যাস লাইটার সনাক্ত হয়।
এ সময় দায়িত্বরতরা তাকে লাইটারটি বের করতে বললে তিনি প্রথমে লাইটার নাই বলে জানান। ব্যাগটি পুনরায় স্ক্যান করলে ব্যাগে লাইটারের অবস্থান পরিস্কার হয়। এতে আবু সাইদ খান ব্যাগ থেকে একটি হলিউড সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে থাকা লাইটারটি বের করেন।
পরে তিনি লাইটার ফেলে দেয়ার সময় নিরপত্তাকর্মীরা প্যাকেটের মধ্যে কালো কার্বনে মোড়ানো কি আছে জানতে চাইলে আবু সাঈদ খান তাৎক্ষনিক কার্বনে মোড়ানো বস্তুটি বের করে খেয়ে ফেলেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন কার্বনে মোড়ানো বস্তুটি ইয়াবা ছিল। বিষয়টি সিভিল এভিয়েশন সদর দপ্তরে জানালে কর্তৃপক্ষ আবু সাইদ খানের বোডিং বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
ওই দিন বিমান বন্দর ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম তালুকদার এয়ারপোর্ট থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আবু সাইদ খানকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।