বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় বর্তমান সরকারের অঙ্গিকারে অক্লান্ত পরিশ্রমের সফলতায় শতভাগ বিদ্যুৎতায়নে দুর্গম নদীবেষ্টিত প্রায় ২৫ হাজারের জনবসতির একটি আধুনিক উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্রীক নাম চরমোন্তাজ- ইউনিয়ন । কালের বিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তনে উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে বিদ্যুৎতায়নের ফলে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্তার প্রসার ঘটছে প্রতিনিয়োত’ই ।
শুধু তাই নয়, একাধিক সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও স্থানীয় জনসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝেঁ কাল হয়ে দাড়িঁয়েছে অবৈধ অব্যবস্থাপনা অস্বাস্থ্যকর শুঁটকি মাছের পল্লি। যার ফলে পঁচা দূর্গন্ধে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির পথে। যার ফলে প্রতিনিয়ত’ই বাড়ছে ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের অজানা যতো রোগবালাই। বিশেষ করে গলাচিপা এবং রাঙ্গাবালী দুই উপজেলার জন্য একটি মাত্র ৫০ সয্যা হাসপাতাল যা গলাচিপায় স্থাপিত। চরমোন্তাজ বা রাঙ্গাবালী উপজেলার কোন মানুষ অসুস্থ বা মুমূর্ষ অবস্থা হলে ট্রলার এবং ছোট লঞ্চ যোগে প্রায় ৪/৫ ঘন্টার ভয়ানক নদী পথ পাড়ি দিয়ে গলাচিপা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হয়, যা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ।
স্থানীয় ভাবে উন্নত মানের তেমন কোন সুচিকিৎসা বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় হাঠবাজারের ফার্মেসীর ওরস্যালাইন’ই একমাত্র ভরষা করে থাকতে হয় চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বাসিদের। স্থানীয় এ-সত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬’ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ছাবিনা, তানিয়া, ইলিয়াস, ফাহিমা,৭’ম শ্রেনীর আইয়ুব, আল আমিন, দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সবুজ, পারভিন, সিয়াম, সজিব, পুজা, সানজিদা ছাত্রী তানজিলা, সুমী, রুবানা, শান্তা, মিজানুর, সাব্বির আহমেদ, গৌতম, ইমন, শিমা রানী সহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিবছর’ই শুঁটকি মাছের পঁচা দূর্গন্ধে আমাদের বমি, মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া, সহ নানা ধরনের অজানা রোগে আক্রান্ত হতে হয়।
কিন্তু কেউ এর প্রতিকার নিয়ে ভাবছে না। শুঁটকি মাছের পঁচা দূর্গন্ধে আমরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা। সুু-চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরতে হয় বিরম্বনায়। চরমোন্তাজ সরকারি প্রাঃবিঃ এর শিশু শিক্ষার্থী রিমা, আসলাম, মিশু, রিয়া মণি, রাকিবুল ইসলাম, তানবির, ছাবিনা ও মিশু বলেন, এতো দূর্গন্ধ! স্কুলে আসলে মাথা ঘুরায়, বমি বমি ও পেট ব্যাথা করে। স্থানীয়দের দাবী জনবসতি এলাকা থেকে সরিয়ে, জনবসতিহীন এলাকায় না নিলে শুঁটকি মাছের পঁচা দূর্গন্ধে জনজীবন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। একদিকে যেমন সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে হুমকি অন্যদিকে অদৃশ্যমান শক্তিতে স্থানীয় পুলিশ, নৌ-পুলিশ প্রশাসনে নাকের ডগায় গড়ে উঠছে শুঁটকি পল্লি। সবাই যেন অদৃশ্য শক্তির হাতে জিম্মি ।
দেশে প্রচলিত আইন থাকলেও বাস্তবে যথাযথ স্থায়ী কোন প্রয়োগ নেই বলে জনসাধারণ মন্তব্য করেন। গনমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল কর্মকর্তাদের সাথে অসংখ্য বার যোগাযোগ হলেও, দেখছি, তদন্ত করছি, ব্যবস্থা করছি, উর্ধতন কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি ইত্যাদি আশার বাণী এবং দ্বায়ভার সারা জবাব ছাড়া আজ পর্যন্ত স্থায়ী কোন জোড়ালো কোন ভুমিকা দেখেনি চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বাসী।
বর্তমান বিশ্ব-মহামারী কোরনা ভাইরাস এবং ওমিক্রন সংক্রমণের জের কাটতে না কাটতেই এসকল অবৈধ অস্বাস্থ্যকর শুঁটকি পল্লির কারনে হয়তো হতে পারে বড় কোন ধরণের রোগবালাই। তাই অধিক মুনাফার লোভে যারা দেশ ও জাতির অমঙ্গল বয়ে আনছে, অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে জোরালো আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন উর্তন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটাই স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণে প্রত্যাশা।