শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা: সদ্য সমাপ্ত হওয়া ভোলার দৌলতখান উপজেলাধীন, ৫নং দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল কর্তৃক নির্বাচন পরবর্তী হামলার শিকার হয়েছেন একই এলাকার মোহাম্মদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মোঃ ইউনুস।ভুক্তভোগী হাফেজ ইউনুস জানান, সদ্য সমাপ্ত হওয়া উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচনে জামাল মেম্বারের পক্ষে নির্বাচন না করায়,নির্বাচন পরবর্তী জামাল মেম্বার আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছিল।জামাল মেম্বারের পক্ষে নির্বাচন না করায় তাহার কাছে প্রথম পর্যায় ৮ লাখ টাকা ও পরবর্তীতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে।
চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত মেম্বার তার মাদ্রাসাসহ তার উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আক্রমণ চালায়।এবং তাকে কতেক সন্ত্রাসী কতৃক ৮নং ওয়ার্ডের পথিমধ্যে গতিরোধ করে লাঠিসোটা নিয়ে মেম্বার জামালের নেতৃত্বে ২/হেলাল উদ্দিন, ৩/খোরশেদ ৪/সিরাজ এবং সোহেল সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন সন্ত্রাসী এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে।এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমাট সহ ফুলা জখম করে।পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দৌলতখান উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরি চিকিৎসা প্রধান করে মেডিকেল ভর্তি রাখেন।বর্তমানে হাফেজ ইউনুস দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এবিষয়ে হাফেজ ইউনুস আরো জানান মারধর ও হামলার ঘটনার পূর্বে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৯/১১/২০২১ তারিখে দৌলতখান থানায় তিনি দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।আর থানায় সেই অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেই তার ক্ষোভে গত১৬/১২/২১ইং দুপুরে জামাল মেম্বার সন্ত্রাসী বাহিনী কতৃক তার উপরে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ তার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জামাল মেম্বারকে ফোন করলে চাঁদাদাবি বিষয়টি এড়িয়ে যান।তবে মারধরের ঘটনা ঘটে তার অনুপস্থিতে স্বীকার করেন।এবং উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিচার শালিশের মাধ্যমে সমাধান করার কথা জানান।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভোলা দৌলতখান উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বজলার হোসেন জানান,অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে পূনরায় দৌলতখান থানায় মামলা অভিযোগ বিষয়ে হাফেজ ইউনুস সহ তার পরিবার আতংকিত রয়েছেন। তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকিত রয়েছেন পুরো পরিবার। তাছাড়া মারধর এর ঘটনার পরেও জামাল মেম্বার সহ তার সহোযোগিরা তাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।,দাবীকৃত চাঁদা না দিলে মাদ্রাসা চালাতে দিবেনা এবং তাকে এলাকায় বসবাস করতে দিবেনা বলেও হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় তিনি ভোলা জেলার পুলিশ সুপার সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানান।