শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলার প্রেসক্লাব থেকে সদ্য বহিস্কৃত সাংবাদিক মেহেদী হাসান শরীফের নেতৃত্বে, বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হলেন সৈয়দপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জার্নালিস্ট ফোরাম ভোলা সভাপতি দৈনিক আমাদের সংগ্রামের সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ জয়।
গত(১৫ সেপ্টেম্বর)রাত ৯:৩০ মিনিটে দৌলতখান প্রেসক্লাবে ভবনে এই হামলার স্বীকার হন তিনি। তথ্যসূত্র জানা,দৌলতখান প্রেসক্লাব থেকে সদ্য বহিস্কৃত কথিত সাংবাদিক মেহেদী হাসান শরীফ তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ জয়কে মোবাইলে ফোন করে তার অবস্তান সনাক্ত করেন।পরে তার সাথে কথা বলার পরিপেক্ষিতে নিজ মটর বাইকে করে তাকে নিয়ে দৌলতখান প্রেসক্লাবে যান।পরে প্লান অনুযায়ী প্রেসক্লাবে দরজা বন্ধ করে টর্চার করতে থাকেন।ঐ সময় যথাস্থানে ওতপেতে থাকা শরীফের বহিরাগত সন্ত্রাসী,রাজিব, সোহাগ, রাকিব খান, রাকিব -২ এবং কাশেম ও শরীফের ছোট ভাইসহ মোট ৮-১০ জন তাকে ঘিরে ফেলেন। এবং এলোপাতাড়ি কাঠের বাঘা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম সহ রক্তাক্ত করেন।
এসময় আহত নিয়াজের ডাক চিৎকারে স্থানীয় দোকানদার সহ ইউপি সদস্য মো.জামাল মেম্বার প্রেসক্লাব ছুটে আসেন।পরে আহত অবস্থায় প্রেসক্লাব থেকে তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসক সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ জয়ের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা কথা ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের জানান- প্রচন্ড আঘাতের ফলে তার শরীরে মাথায় এবং পায়ের হাটুতে ব্যাপক ক্ষত ও ফুলা জখম হয়। বর্তমানে নিয়াজ মাহমুদ জয় ভোলা সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ জয়ের পরিবার জানান তার উপরে হামলা সম্পুর্ন রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য দৌলতখানে রাজনীতিকে অশান্ত করতে কাউকে খুশি করতে মুলত এই হামলা হয় বলে জানান নিয়াজের বড় ভাই মো.সুমন। তিনি আরো জানান ভোলা -২ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপি আমাদের অভিবাবক।আমরা হামলার ঘটনায় তার সরনাপন্ন হয়েছি।এবং উক্ত সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবী দিয়েছি।
তিনি উক্ত ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন এবং আমাদের আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান আহত নিয়াজের পরিবার। এদিকে সাংবাদিক নেতা নিয়াজের উপর বর্বোচিত হামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ ও নিন্দা জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভোলা জেলা সহ বিভিন্ন জেলার সাংবাদিক মহলের নেতৃবৃন্দরা।
পবিত্র প্রেসক্লাবে সাংবাদিক হয়ে অপর একজন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসী কতৃক উক্ত হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে দৌলতখান উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব- মহিন আহম্মেদ তার দায়িত্ব পদ থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে তার ফেসবুক ওয়ালে এক বিবৃতি দিয়েছেন। এবং তিনি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন। এদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সম্পাদকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ক্ষোভ জানিয়েছে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.রায়হান আহমেদ।
তিনি আজ সন্ধায় সদর হাসপাতালে আহত নিয়াজ মাহমুদ জয়কে দেখতে আসেন। এবং উক্ত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্যে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আলটিমেটাম দেন।
এবিষয়ে দৌলতখান থানার ওসি মো. বজলার হোসেন জানান,আহত সাংবাদিক পরিবারের পক্ষহতে লিখিত একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।