সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে রিকশা শ্রমিকদের নিয়ে ধানের শীষের ব্যতিক্রমী প্রচারণা বরিশালে চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকদের অবস্থান, বিক্ষোভ বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মহসিন সিকদারের নেতৃত্বে র‍্যালী সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বক্তব্যে বরগুনায় আইনজীবীদের প্রতিবাদ সাংবাদিক পেশার নাম ব্যবহার করে বরিশালে ভয়ংকর অপরাধ করে যাচ্ছে আরিফ বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত নারীকে কু/পি/য়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ গর্ভবতী গরু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে কসাইকে অর্থদণ্ড ও কারাদন্ড কলাপাড়া জাটকায় সয়লাব।। অভিযান শুধু সড়কে সংখা দিয়ে নয়, মানসম্মত শিক্ষাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ….এবিএম মোশাররফ হোসেন ভোট যেন না হয় সে ষড়যন্ত্র চলছে : সরোয়ার বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা বরিশালের পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসপূজা, মেলা চলবে ৫ দিন
বরিশালে ওয়াপদা টর্চার সেল- দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ান স্বজনেরা

বরিশালে ওয়াপদা টর্চার সেল- দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ান স্বজনেরা

Sharing is caring!

১৯৭১ সালের জুলাই মাসে বরিশাল নগরীর ওয়াপদা আর্মি ক্যাম্পে আমাদের নিয়ে আসা হয়। এর আগে গৌরনদী ক্যাম্পে ভীষণ টর্চার করা হয়। আমার পায়ের পাতা চিড়ে দেওয়া হয়েছিল। কী কারণে বরিশালের ওয়াপদায় আনা হয়েছিল তা জানি না। আমার সাথে আমার বন্ধু আনোয়ারকেও নিয়ে আসা হয়,’ বলছিলেন সেসময় ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী এমএজি কবীর ভুলু। বাংকারে ঢুকে আমরা আতকে উঠি।

বাংকারের মধ্যে আমরা কয়েকজন নারীর মৃতদেহ পাই। কয়েকজন অবশ্য তখনও জীবিত ছিল, তবে কারো শরীরে এক টুকরো কাপড়ও ছিলনা। আমরা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেই। পুরো এলাকার সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞের চিহৃ ছড়িয়ে ছিল’। বরিশাল শত্রুমুক্ত হওয়ার বরিশাল তথা দক্ষিণাঞলের সবচেয়ে বড় গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র ওয়াপদা কলোনীর চিত্র এভাবেই বর্ণনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগ। তিনিই প্রথম বাংকারে ঢুকেছিলেন।ওয়াপদা কলোনীতে টানা ১৯ দিন পাকিস্তানী হানাদারদের টর্চার সেলে (নির্যাতন কেন্দ্র) বন্দী ছিলেন বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা এএমজি কবীর ভুলু।

সেখানে পাকিস্তানি বাহিনির গণহত্যা ও ভয়াবহ নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি এখনও ডুকরে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, ওয়াপদা কলোনীর একাধিক টর্চার সেলে বাঙ্গালী নারী-পুরুষদের ধরে নিয়ে সীমাহিন নির্যাতনের পর সাগরদী খালের একটি সেতুতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। অগনিত গণহত্যার নিরব স্বাক্ষী এই ওয়াপদা ক্যাম্প। এএমজি কবীর ভুলু বলেন, গণহত্যার স্মারকগুলো সংরক্ষন করায় আগামী প্রজন্ম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বর্বরতার ইতিহাস জানতে পারবে। গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে (বরিশাল মুক্ত দিবসে) টর্চার সেল ও বধ্যভূুমি সংরক্ষন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD