শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় যাত্রিবাহী বাস থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৩০মন মাছ জব্দ বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার কলাপাড়া বাজার আয়োজিত  ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাকেরগঞ্জে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের ঘটনায় সাবেক এমপিকে জড়ানোয় বিএনপির উদ্বেগ অপারেশন ডেভিল হান্ট” কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৬ কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল
বরিশালে ওয়াপদা টর্চার সেল- দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ান স্বজনেরা

বরিশালে ওয়াপদা টর্চার সেল- দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ান স্বজনেরা

Sharing is caring!

১৯৭১ সালের জুলাই মাসে বরিশাল নগরীর ওয়াপদা আর্মি ক্যাম্পে আমাদের নিয়ে আসা হয়। এর আগে গৌরনদী ক্যাম্পে ভীষণ টর্চার করা হয়। আমার পায়ের পাতা চিড়ে দেওয়া হয়েছিল। কী কারণে বরিশালের ওয়াপদায় আনা হয়েছিল তা জানি না। আমার সাথে আমার বন্ধু আনোয়ারকেও নিয়ে আসা হয়,’ বলছিলেন সেসময় ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী এমএজি কবীর ভুলু। বাংকারে ঢুকে আমরা আতকে উঠি।

বাংকারের মধ্যে আমরা কয়েকজন নারীর মৃতদেহ পাই। কয়েকজন অবশ্য তখনও জীবিত ছিল, তবে কারো শরীরে এক টুকরো কাপড়ও ছিলনা। আমরা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেই। পুরো এলাকার সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞের চিহৃ ছড়িয়ে ছিল’। বরিশাল শত্রুমুক্ত হওয়ার বরিশাল তথা দক্ষিণাঞলের সবচেয়ে বড় গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র ওয়াপদা কলোনীর চিত্র এভাবেই বর্ণনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগ। তিনিই প্রথম বাংকারে ঢুকেছিলেন।ওয়াপদা কলোনীতে টানা ১৯ দিন পাকিস্তানী হানাদারদের টর্চার সেলে (নির্যাতন কেন্দ্র) বন্দী ছিলেন বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা এএমজি কবীর ভুলু।

সেখানে পাকিস্তানি বাহিনির গণহত্যা ও ভয়াবহ নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি এখনও ডুকরে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, ওয়াপদা কলোনীর একাধিক টর্চার সেলে বাঙ্গালী নারী-পুরুষদের ধরে নিয়ে সীমাহিন নির্যাতনের পর সাগরদী খালের একটি সেতুতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। অগনিত গণহত্যার নিরব স্বাক্ষী এই ওয়াপদা ক্যাম্প। এএমজি কবীর ভুলু বলেন, গণহত্যার স্মারকগুলো সংরক্ষন করায় আগামী প্রজন্ম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বর্বরতার ইতিহাস জানতে পারবে। গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে (বরিশাল মুক্ত দিবসে) টর্চার সেল ও বধ্যভূুমি সংরক্ষন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD