শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪: জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের আটক গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে চলমান শালিস বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় চার সহোদরসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চার সহোদরকে বরিশাল শেবাচিম ও অন্যান্যদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করে সোমবার সকালে উজিরপুর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, ওই গ্রামের মন্টু হাওলাদার গং ও একই বাড়ির লাকী ভূঁইয়া গংদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ নিস্পত্তির জন্য রবিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার একটি গ্রাম সমিতির কার্যালয়ে শালিস বৈঠকে বসে স্থানীয় গ্রাম্য মোড়লরা।
শোলক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাহান হাওলাদার, আওয়ামীগ নেতা মোফাজ্জেল কাজী, মিজান তালুকদার, শহিদুল তালুকদার, সেকেন্দার তালুকদার, মাসুম হাওলাদারসহ অন্যান্যরা জানান, শালিস বৈঠক চলাকালীন সময় বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে বিচারকদের অবমাননা করে লাকী ভূঁইয়ার পুত্র আশিক ভূঁইয়া ২০/৩০ জনের একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিপক্ষ মন্টু গংদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এতে প্রতিপক্ষ মন্টু হাওলাদার, তার সহোদর মিন্টু হাওলাদার, শহিদুল হাওলাদার, হাফিজুল হাওলাদার গুরুতর আহত হয়। হামলা থামাতে গিয়ে উভয়পক্ষের শালিসগণের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে লাকী ভূঁইয়ার পক্ষের চারজনসহ উভয় গ্রুপের ছয়জন আহত হয়।
এ ঘটনায় আহত মন্টুর স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ লাকী ভূঁইয়াসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শোলক ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি লাকী ভূঁইয়া জানান, প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি শিশির কুমার পাল বলেন, পরস্পরকে দায়ী করে উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।