শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : বরিশাল সদর (৫) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীর্ষের প্রার্থী সাবেক জাতীয় সংসদের হুইপ এ্যাড.মজিবর রহমান সরোয়ার গনমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন মাঠে সেনা বাহিনী আসার পরও নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি একটুও বদলাই নাই।
কোন স্থানেই নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার-প্রচারনা করতে নামলেই পুলিশ বিনা গ্রেপতারী পরোয়ানা ছাড়াই আমি সরোয়ার একজন প্রার্থী হয়ে হওয়ার পরও আমাকে ধাক্কা দিয়ে কর্মী ও সমর্থকদের পুলিশ গ্রেপতার করে নিয়ে সাধারন জনগনের মাঝে ভীতি আতংক সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন এখনো দিন-রাত পুলিশ ধানের শীর্ষের সমর্থক কর্মীদের গন গ্রেপতার করে চলছে।
জনগন আশা করেছিল সেনা বাহিনী মাঠে আসলে হয়ত এবারের মত একটি ভোট তারা কেন্দ্রে গিয়ে দিতে পারবে এখনো যেভাবে পুলিশ আমাদের দলীয় লোকদের হয়রানী নির্বিচারে গ্রেপতার করে যাচ্ছে তাতে আমরা সুষ্ট নির্বাচন ও জনগন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে বলে মনে হয় না।
সরোয়ার আরো বলেন আমার নৌকা প্রতীক প্রার্থী প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
আমরা নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত ভোঠের মাঠেই থাকব এতে আমাকে সহ আমার সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পুলিশ গ্রেপতার করুক।
এসময় তিনি বরিশাল সদর আসনের সকল জনগনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন আপনাদের ভোটের ন্যার্য অধিকার কেন্দ্রে গিয়ে যাকে খুশি তাকে দিবেন কেন্দ্রে গিয়ে নিজ নিজ ভোট ভাবে ভোট দেয়ার জন্য আহবান জানান।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধানের শীর্ষের প্রার্থী এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার নগরীর রুপাতলী সোনার গাঁও ট্রেস্কটাইল মিল সহ বিভিন্ন স্থানে তার দেহ রক্ষি মিজান সহ এ্যাড.পলাশ নামের এক কর্মী নিয়ে অসহায়ের মত প্রচার-প্রচারনা ও গন সংযোগ করেন।
এর পরপরই তিনি বরিশাল শহরতলী ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে গন সংযোগ করে ¯িপ্রডবোর্ড যোগে বরিশালে ফিরে আসার পথে সাহেবের হাট নামকস্থানের নদী পথে বন্দর থানার একদল সিভিল ড্রেসের পুলিশ ¯িপ্রড বোড আটকাবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে তারা পিছু ধাওয়া করে।
মজিবর রহমান সরোয়ার এসময় তার ¯িপ্রর্ড বোর্ডটি বিশ্বাসের হাট চরমোনাইর ৫নং ইউনিয়ন পরিষদের সামনের নদীর ঘাটলায় থামানোর সাথে সাথে পুলিশ সদস্যরা কোন কথা না বলে মজিবর রহমান সরোয়ারকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে হাতে ধানের শীর্ষের লিফলেট থাকার অপরাধে টেনে-হিছড়ে পুলিশের ¯িপ্রর্ড বোডে উঠিয়ে নিয়ে এ্যাড. পলাশ নামের এক কর্মীকে।
এসময় মজিবর রহমান সরোয়ার আটকের কারন পলাশকে ছাড়িয়ে রাখার জন্য অনেক অনুরোধ করার পরও পলাশকে নিয়ে বন্দর থানার দিকে চলে যায়।
এর আগে পুলিশ চলে আসা দেখে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের প্রবীন বিএনপি নেতা ইসরাইল পন্ডিত ও সরোয়ারের নির্বাচনী সাথী মিজান পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।
অপরদিকে সরোয়ার বরিশালে ফিরে নগরীর বেলতলা ফেরী ঘাট এলাকায় আসলে সেখানে কাউনিয়া থানার ওসি তদন্ত গোলাম কবীর সহ একাধিক পুলিশ অবিসার সরোয়ারের সাথে থাকা কর্মীদের আটকের জন্য অবস্থান নেয়।
পরে সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারেন একজনকে বন্দর থানা আটক করে নিয়ে গেছেন।