শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার নজির নাই। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে আমরা হেরে গেছি। তারপর সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের বদলে ২ বছর অগণত্রান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় ছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের সিইসির সভা বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবার আগ থেকে তারা সিইসি এবং নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে আসছেন। আবার বাছাইতে তাদের অনেকের প্রার্থীতা ফিরে পাবার পর তারা কমিশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। যখন তাদের পক্ষে যায় ঐ সময়ে ভালো আবার বিপক্ষে গেলে কমিশন তথা সিইসি খারাপ। এটি তাদের নিয়মে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশনে একজন আছেন তিনি সব সময় নোটঅফ ডিসেন্ট দেন আবার নিজের কক্ষে মিডিয়াকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। কমিশনের সর্বাধিক সদস্য যে মত প্রকাশ সেটিই কমিশনের মতামত। সিইসি এবং নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট পেয়ে গেছে। এ নির্বাচন তখনই নিরপেক্ষ হবে, যখন নির্বাচন কমিশন বিএনপির-ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ নিবে। বিএনপির পক্ষ না নিলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা থাকে না। এটাই তাদের মানসিকতা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু করেছে। দেশের সরকার যদি কোনো বৈরি আচরণ করে এটা জানাবে জনগণকে। অথচ তারা নালিশ জানায় বিদেশিদের কাছে। গত ১০ বছরে তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। বিএনপি একটি ব্যর্থ বিরোধী দল।
তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটে গেছে। পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়ে গেছে। দেশ নিশ্চিতভাবে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা নির্বাচন করব। অপরাধ করলে অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে। তারপরও নির্বাচনটা হউক। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদেরও দায়িত্ব আছে। কোনোরকম উছকানির ফাঁদে পা না দিয়ে সব রকম সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র শহিদউল্লাহ খাঁন সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহমান মঞ্জু, সহ-সভাপতি আবু তাহের, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন বিএসসি, লুৎফন্নাহার মুন্নি, অ্যাডভোকেট গুলজার হোসেন জুয়েলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।