মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : বরগুনার পাথরঘাটায় ব্যক্তিগত ও বৈধ অস্ত্র নিকটবর্তী থানা অথবা ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার জন্য আজ রবিবার শহরে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে একাদশ সংসদে প্রার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি বা আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র জমা দেওয়ার আওতা মুক্ত থাকবে বলে নির্বাচন কমিশনের আদেশে বলা হয়েছে। বরগুনা ২ আসন পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে গঠিত। তিন প্রার্থীর ব্যক্তিগত অস্ত্র আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরগুনা জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে রবিবার দুপুরে প্রচারে বলা হয় ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বৈধ অস্ত্র নিকটবর্তী থানা অথবা ট্রেজারিতে জমার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আবদুল জলিল ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের বরাত দিয়ে বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ণিত অস্ত্র আবশ্যিকভাবে জমা থাকবে বলে জানানো হয়। আদেশে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা সমুহে নিয়োজিত প্রহরীরা এর আওতামূক্ত থাকবে বলে জানানো হয়।
বরগুনা ২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা থেকে দেখা যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হাসনুর রহমান রিমনের একটি দোনলা বন্দুক ও একটি ৩২ বোর রিভলভার আছে। বন্দুকটি তার পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত। জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের আছে একটি দোনলা বন্দুক একটি পিস্তল।
অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে এর হাতপাখা প্রার্থী গোলাম সরোয়ার হিরুর একটি বন্দুক, একটি পিস্তল আছে বলে পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা গেছে কিন্তু হলফনামায় এর উল্লেখ নাই।
প্রার্থী হিরু রবিবার বিকেলে প্রতিনিধিকে জানান, ভুলবশত হলফ নামায় অস্ত্রের উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ কালের কণ্ঠকে জানান, বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম। আইনগত কোনো ব্যাত্যয় হয়েছে কিনা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।
পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট ৬৮ জন বিশিষ্ট মানুষের ৭৩টি ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক পরিমাণ থানায় জমা রয়েছে। অবশিষ্ট অস্ত্র আগামীকাল সোমবার জমা হওয়ার কথা আছে।