সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
ঈদ পালন শেষে কর্মস্থলমুখী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর তাই বরিশাল নদী বন্দরে রাজধানীমুখি মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই বেড়েছে।
তবে বিগত বছরগুলো থেকে এবারের কোরবানি ঈদের তৃতীয় দিনে বরিশাল নদী বন্দরে তুলনামূলক ভিড় অনেকটাই কম লক্ষ করা গেছে।
লঞ্চ মালিক ও স্টাফরা বলছেন, যাত্রীচাপ তেমন একটা না থাকায় বিগত সময়ের থেকে আজ লঞ্চের সংখ্যাও কিছুটা কম। তবে প্রতিটি লঞ্চের পক্ষ থেকে নিজস্ব উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। লঞ্চে ওঠার আগে যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু লঞ্চে জীবানুনাশক ট্যানেলের মধ্য দিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে প্রবেশ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় বরিশাল নদী বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের প্রধান ফটকগুলো দিয়ে বিশেষ ক্ষেত্র ব্যতিত কোনো ধরনের যানবাহন ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘাটের প্রবেশ গেটে টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের জটলা থাকলেও, খালি মুখে চেকারদের টিকিট কাটার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের পরামর্শ দিতে দেখা গেছে।
যদিও এবারে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আর্চওয়ে গেটের ব্যবহার দেখা যায়নি, তবে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া ঘাটের প্রবেশ গেটে বেশ কয়েকটি জীবানুনাশক ট্যানেল ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গেছে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে তুলনামূলকভাবে এখনো লঞ্চে যাত্রীদের চাপ সেভাবে বাড়েনি।
অপরদিকে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও ডেকের বা তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য টার্মিনালের বাহিরে কোনো বুথ বা কাউন্টার খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে লঞ্চের স্টাফরা জানান, যাত্রীচাপ কম থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে।
এদিকে ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রী অমিত জানান, যাত্রীচাপ কম থাকলেও মাস্ক ব্যবহারে তেমন একটা সচেতনতা নেই যাত্রীদের। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে মাস্ক পড়লেও লঞ্চের ভেতরে গিয়ে যে যার মতো মাস্কের ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীর লঞ্চের ভেতরে মুখোশ খুলে ফেলছেন।
তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রী মাহাবুবুর রহমান জানান, লঞ্চের ডেকে যে পরিমাণে গরম ও মানুষের চাপ তাতে মাস্ক পড়ে নিঃশ্বাস নেওয়াটাই কষ্টকর। এদিকে ডেকে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য শুধুমাত্র মানামী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারা ডেকে মার্কিং করে দেওয়ার পাশাপাশি রশি ব্যবহার করে নির্ধারিত সীমানার মতো করে দিয়েছেন। এর বাহিরে অন্য লঞ্চগুলোর ডেকে যে যার মতো জায়গা নিয়ে যাত্রীরা গাদাগাদি করে বসছেন।
এদিকে, লঞ্চের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে রাজধানীমুখি যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বাসে তেমন একটা ভিড় লক্ষ করা যায়নি।