বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বিআরইউ তে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য দলিলপত্রের প্রদর্শনী বাউফলে বিজয় দিবসে জামায়াত নেতার হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত পটুয়াখালীতে জিয়া সৈনিক দলের জেলা কমিটির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান পটুয়াখলাীতে (DNC) এর অভিযানে মাদকসহ নিশা নামের ১ মাদককারবারি গ্রেপ্তার বরিশালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে বিএনপি–জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৩ নগরীতে এক স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা কলাপাড়ায় ডেভিল হান্টের অভিযানে আ.লীগ নেতা ফজলু ফকিরসহ ৩ জন গ্রেফতার স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন বর্গীর লাল চোখ জনগণ পাত্তা দেবেনা : মাস্টার আঃ মান্নান সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ এখন জিয়া পরিষদে রুপ আমি কারও জমির ধান কাটি নাই, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা… হাফেজ আবদুল বারেক নির্বাচনী তফসিল ঘোষনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কলাপাড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল পটুয়াখালীতে যৌতুক মামলার বাদী ফাতেমাকে কোট চত্বরে সতিনের বর্বরোচিত হামলা
বরগুনার রিফাত হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি

বরগুনার রিফাত হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি

Sharing is caring!

বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ শরীফ রিফাত হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবিরকে বরিশাল পুলিশ সুপার কার্যালয় বদলি করা হয়েছে।

জানা যায়, বরিশাল পুলিশ উপমহাপরিদর্শকের ২ জুনের স্বাক্ষরিত বদলি আদেশ মো. হুমায়ুন কবির পেয়েছেন। তাকে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ৪ জুন ছাড়পত্র দিয়েছেন। ইতিমধ্যে হুমায়ূন কবিরের তদন্তনাধীন মামলার সব নথি বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

মো. হুমায়ূন কবির শুধু রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত করেননি। আলোচিত মামলার মধ্য রয়েছে সোহেল হত্যা, আউয়াল হত্যাসহ একাধিক আলোচিত হত্যা মামলা। সেই মামলাগুলোর তদন্তকাজ এখনও শেষ হয়নি।

রিফাত হত্যা মামলার বাদী ও রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, আমি এবং আমার পরিবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনসহ সব পুলিশ অফিসারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

তারা আমাকে ও আমার মামলার সাক্ষ্যদের সুরক্ষা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিফাত হত্যার একাধিক সাক্ষ্য জানান, নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজির লোকজনের ভয়ের কারণে আমরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির আমাদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে রেখেছেন।

হুমায়ূন কবির আমাদের বলেছেন– আপনাদের আমরা (পুলিশ) সুরক্ষা দেব। যার কারণে আমরা আদালতে সাহস করে সাক্ষ্য দিয়েছি। রিফাত হত্যা মামলা দুই খণ্ডে দুটি আদালতে বিচারাধীন। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামিদের বিচার হচ্ছে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। এই আদালতে ৭৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এখন যুক্তিতর্ক হলে রায় হবে।

অন্যদিকে বরগুনা শিশু আদালতে ১৪ শিশু অপরাধীর সাক্ষ্য চলমান। ইতিমধ্যে ৭৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবিরের সাক্ষ্য এখনও হয়নি।

করোনাভাইরাসের কারণে আদালতে সাক্ষ্য হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির বলেন, বদলির আদেশ পেয়েছি। কিছু দিনের মধ্য বরিশাল পুলিশ সুপার কার্যালয় যোগদান করব। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে সাক্ষ্যের সমন পেলে এসে সাক্ষ্য দেব।

রিফাত হত্যা মামলার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশু আদালতের সাক্ষ্য এখনও শেষ হয়নি। তাকে এ মুহূর্তে বদলি না করলে ভালো হতো। তিনি সাক্ষ্যদের সুরক্ষা দিয়েছেন। তার জন্যই আমরা আদালতে অধিকসংখ্যক সাক্ষ্য জানাতে পেরেছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD