বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ভীর ছিলো ঈদের মত। একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট পৌছে তৃতীয় শ্রেনীর ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়।
রোববার দুপুর থেকে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে ভীর একটু একটু বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে ছিলো উপচে পরা ভীর। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দ্বিগুন যাত্রী ওঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার নিজে মাইকিং করলেও তাতে কর্নপাত করেনি কোনো যাত্রী।
এক পর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান র্যাব সদস্যদের নিয়ে নদী বন্দরে পৌছে ডেকের অবস্থা দেখে ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়। তিনটি লঞ্চেরই প্রধান ফটক বন্ধ করা হয়।যাত্রীরা জানান, স্বাস্থ্যবিধির কথা জানা থাকলেও মানছে না কেউ। এই অবস্থায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার আশংকা তাদের।
এ ব্যাপারে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, সাবধানতার চেষ্টা করলেও কেউ কথা শুনছে না। এর এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নদী বন্দরে পৌছান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি তিনটি লঞ্চেরি ডেক শ্রেনী বন্ধের নির্দেশ দেন।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, নদী বন্দরে নোঙর করা তিনটি লঞ্চের ডেক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে রোববার সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও এ্যাডভেঞ্জার ৯ রাজধানীর উদ্দেশ্য রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে যাত্রা করার কথা। লঞ্চগুলোর মধ্যে শুধু সন্দরবন ১১ লঞ্চের সামনে জীবানুনাশক টানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। ২৪ শে মার্চের পর এই প্রথম বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে লঞ্চগুলো।