বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
দুই দিন পার হলেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এমএ আজাদ সজলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্যের কূলকিনারা পাওয়া যায়নি। যদিও ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আর রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরেও পুলিশ ঘটনাস্থল নগরের কালীবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হসপিটালে তদন্ত কার্যক্রম চালান।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, গঠিত একটি বোর্ডের মাধ্যমে ডা. সজলের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলও পরির্দশন করেছেন। পোস্টমর্টেমের বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকার প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষা অফিসে এবং শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের হিস্তোপ্যাথলোজী বিভাগে পাঠনো হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অপরদিকে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, এই হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন তারা। ওই হাসপাতালে বেশ কিছু কর্মীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
ডা. এমএ আজাদ সজলের পরিবার ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি চাকরির কারণে বরিশালের মমতা হসপিটালের সপ্তম তলার একটি একটি কক্ষে থাকতেন। মঙ্গলবার সেহেরীর সময় তার স্ত্রী মোবাইলে কল করার চেষ্টা করেন। এসময় ফোন রিসিভ না হওয়ায় বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন তিনি। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ তার কক্ষের দরজা ভেঙেও তাকে খুঁজে পায়নি। পরে হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: **বরিশালে মৃত চিকিৎসকের দাফন সম্পন্ন।
**বরিশালে চিকিৎসকের মৃত্যু : হত্যা মামলা দায়ের।
**বরিশালে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৯ জন পুলিশ হেফাজতে।