শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেতাগী হাসপাতাল রোড এলাকায় চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ব্যাতিত জনসাধারণকে চলাফেরায় সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার রাত আটটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং। এ নিয়ে বেতাগী উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের বাড়ি বরিশাল সদরে। তিনি সদ্য এ কর্মস্থলে যোগ দেন। ডিউটিরত অবস্থায় নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে রোগী দেখেছেন। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। শনিবার বিকালে করেনাভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় সন্ধ্যায় প্রশাসন ওই এলাকায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ছাড়া সকলের চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং জানান, আমাদের হাসপাতালের একজন কর্মরত চিকিৎসকের করোনার নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ এসছে। আমরা মানসিকভাবে খুব আতঙ্কে রয়েছি। চিকিৎসকের বর্তমান শারিরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক বর্তমানে তার সরকারি কোর্য়াটারের একটি কক্ষে আইসোলেশনে অবস্থানরত আছেন। তার শরিরে করোনার উপসর্গ বলতে গেলে শুধুমাত্র কাঁশির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ক্যাম্পাসসহ হাসপাতাল এলাকায় চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ছাড়া কাইকে চলাচল করতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এবং হাসপাতালের কর্মরত সকল চিকিৎসক ও স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর এ পাঠাতে বলা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ন শাহীন খাঁন জানান, শনিবার রাতে প্রাপ্ত ফলাফলে আরো সাতজন ব্যাক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, এর মধ্যে চিকিৎসক ও রয়েছেন।নতুন সংক্রমিতদেও ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিভাগ যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন,আক্রান্ত এই সাতজনের বাড়িসহ অবস্থানরত আশেপাশের বাড়ি ইতোমধ্যে আমরা লকডাউন করেছি। এছাড়াও আমরা তাদের সংস্পর্শে আসা লোকদের খুঁজে বের করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
source : hello barishal