সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
অপরাধকে বৃদ্ধ আংগুল দেখিয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে বরিশালের মাদকের গডফাদার একাধিক মাদক মামলার আসামি শিশু প্রতিবন্ধী ধর্ষণকারী কালাম ওরফে গাঁজা কালাম। থানায় যেমন রয়েছে একাধিক মামলা তেমনি তার অপরাধ নিয়ে পত্রিকার পাতায় রয়েছে একাধিক সংবাদ। তবুও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদিও একাধিকবার আটক হয়েছে প্রশাসনের হাতে। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার বলে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে এবং পুনরায় তার অপরাধ কার্যক্রম করে থাকে।
তার মাদকের কালো থাবায় পলাশপুরের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে। তবুও মানুষ অসহায় তার ক্ষমতার কাছ। মুখ খুললেই তার বাহিনীর হাতে অত্যাচারের শিকার হতে হবে তাই মানুষ ভয়ে মুখ খোলে না। প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক দম্পতি বেধড়ক মারধর এবং শ্লীলতাহনির শিকার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর পলাশপুর ক্লিনিক গলি এলাকায়। আহত নারী মুন্নি বেগম জানান, (ভিডিও বক্তব্য দেন) তার বাসার পাশে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি মাদক বিক্রি করে গাজা কালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আর তার শেলটার দেয় তার জামাই কথিত সাংবাদিক রানা। মুন্নি বেগম তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গাজা কালাম কে অনুরোধ করে তার বাসার পাশে মাদক বিক্রি না করে। এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে গাজা কালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গ রাহাত, তার মেয়ে রিপা, বোন ভানু, তার জামাই রানা এবং গাজা কালামের বউ সহ প্রায় ২৫-২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মুন্নি বেগম ও তার স্বামী সুজন হাওলাদার এর উপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
লাঠি এবং রামদা দিয়ে তাদের বেধড়ক ভাবে মারধর কর এবং মুন্নি বেগমের স্বর্ণের চেইন এবং একটি টাচ ফোন নিয়ে যায়। ততপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুন্নি বেগম আরও জানান, এই ঘটনা এলাকার অনেককে জানালে কোন শুরু না পেয়ে কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আহত মুন্নি বেগমের মা জানান (ভিডিও বক্তব্য দেন) বেশ কিছুদিন আগে আমার ছেলে রাব্বির নামে সংবাদ প্রকাশ করিবে এই বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে কথিত সাংবাদিক রানা ওরফে গাজা কালামের জামাই। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে ভয় বৃত্তি দেখায় এবং আমার ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে এই বলে চলে যায়।
এই ব্যাপারে আহত মুন্নি বেগমের ভাই রাব্বি জানান, আমার কাছে অনেকদিন যাবৎ টাকা চায়।নাহয় আমার নামের সংবাদ প্রকাশ করিবে এই ভয় দেখায়। শুধু আমাকেই নয় এই এলাকার প্রায় মানুষেরই কাছে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা চায় এই কথিত সাংবাদিক রানা।
বেশ কিছুদিন আগে পলাশপুর ৪ নং গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় এক বাসায় ঢুকে বলে আপনার বাসায় কারেন্ট জাল আছে,যদি আমাদের টাকা না দেন আমরা পুলিশে খবর দেব। এই বলে ওই পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে। এলাকার লোকজন রানাকে আটক করলে এই ধরনের কাজ আর কখনো করিবে না এই মর্মে তখন ছাড়া পায়।
রাব্বি ও তার মা এবং সুজন হাওলাদার আরো জানান, মসজিদ গলি এলাকার একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রানা মাসিক বিট মানি নেয় প্রশাসন তাদের কোনো রকম হয়রানি করবে না এই মর্মে। এ ব্যাপারে আহত মুন্নি বেগম ও তার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।