সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আতংকে ওই হাসপাতাল সংলগ্ন একটি এলাকার সড়ক আটকে দিয়েছে স্থানীয় উঠতি বয়সীরা। শনিবার হাসপাতালের একটি গেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় তারা। এতে করে বেশ ভোগান্তিতে পরে চিকিৎসক-নার্স-স্টাফ ও রোগীরা। সর্বশেষ আজ রোববার সেই গেটটি পুলিশ সরিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর আবার ওই এলাকার উঠতি বয়সীরা গেটটি বাঁশ দিয়ে পুনরায় আটকে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে পুনরায় ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও নার্সরাও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে অন্য এলাকার কিছু লোকজন এসে এই এলাকার উঠতি বয়সীদের নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ পিছনের গেটটি বন্ধ করে দেয়। তাদের অভিযোগ এক ছাত্রর করোনা ধরা পরেছে, আর এই সড়ক দিয়ে যেন কেউ যাতায়াত করতে না পারে তাই আটকে দেয়া হয়েছে। এর কারণে সকাল থেকে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পরে হাসপাতালে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। রোগীরাও পরেন ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে। কেননা বরিশাল নগরীর ৮০ ভাগ রোগী এই পথ ধরেই হাসপাতালে প্রবেশ করে থাকে। তাছাড়া হাসপাতালের বেশ সংখ্যক স্টাফ হাসপাতালের পিছনের গেট এলাকায়ই বসবাস করেন। গেটটি আটকে দেয়ায় তারাই বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছে। আজ রোববার ২৯ ঘন্টা পর দুুপুর ২টার দিকে পুলিশ এসে আটকে দেয়া গেট খুলে দেয় এবং বাঁশ সরিয়ে ফেলে। এরপর পুলিশ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আবার ওই এলাকার অতি উৎসাহীরা গেটটি পুনরায় আটকে দেয়।
স্থানীয়দের সচেতন মহলের অভিযোগ, কিছু মাদকসেবী অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজটি করেছে। তারা গেট আটকে দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদেরও নানা ভাবে অপমান করেছেন। যেটা খুবই নিন্দনীয়।
বিষয়টি জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেনকে কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের একটি গেট খোলা থাকাই ভালো রোগীদের জন্য। তবে হাসপাতালের পিছনের গেটটি আটকে দেয়ায় যদি চিকিৎসক-নার্সদের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি আমি দেখছি।