শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে এবং কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী (৪৫), তার ভাই মো. শাহে আলশ বেপারী (৩৮) ও সামছুল আলম বেপারী (৩০) এবং উপজেলার রাজকর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মধু খাঁর ছেলে চালের ডিলার মো. সেন্টু খাঁ (৪৫)।
র্যাব-৮ সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আয় রোজগারের পথ সংকীর্ণ হওয়া দুস্থ এবং অসহায়দের বিভিন্ন রকমের ত্রাণের সুবিধা প্রদান করছে সরকার। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ ব্যক্তি তাদের ত্রাণ নিয়ে কারচুপি করছে। ওইসব অসৎ ব্যক্তিদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাবুগঞ্জ উপজেলার ২ নং কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ভূতেরদিয়া গ্রামে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৮ এর বিশেষ অভিযানিক দল।
এসময় চেয়ারম্যানের তিন তলা বিল্ডিং এর নিচতলায় একটি রুমের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেন র্যাবের অভিযানিক দল। সরকার কর্তৃক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ১০ কেজি করে মাপে কম দিয়ে বাকিটা আত্মসাত করেন।
আর এই ঘটনার সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের নুরে আলম ছাড়াও তার দুই ভাই এবং ডিলার জড়িত। তবে অভিযুক্ত ডিলারও ইউপি চেয়ারম্যানের আপন চাচাত ভাই বলে জানাগেছে। তবে র্যাবের অভিযান টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম ও তার সহযোগিতারা সবাই আত্মগোপনে রয়েছে। উদ্ধারকৃত চালগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ওজনে ১০ কেজি করে কম দেয়ার অপরাধে কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন (৩২) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনুজ্জামান (৩৮) কে আটক করে র্যাব। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্টে তাদের এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাতের এই অভিযান ছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় বাবুগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব-৮। তারা উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের গোডাউনে তল্লাশী করে বিপুল পরিমান চাল পেয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেতৃত্বে থাকা র্যাবের এএসপি মুকুর চাকমা। তিনি বলেছেন, এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযান শেষ করে জানানো যাবে।