সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৮ জন ব্যক্তি ছাড়পত্র পেয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে মাত্র ১৪ জনকে। পাশাপাশি নতুন করে ২৪ ঘন্টায় বরিশাল নগর ব্যতিত বিভাগের ৬ জেলায় ২৬৯ জনেক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশালে প্রবেশ করেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৪ হাজার ৩৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ৩ হাজার ৯৯৫ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩৬৯ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ২৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জেলার মধ্যে শুধুমাত্র ভোলা, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলাতে ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে বরিশাল, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৯৪ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এর বাহিরে বিভাগে এ পর্যন্ত ৩৫ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, যারমধ্যে ২৫ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশালে ৩, পটুয়াখালীতে ২, বরগুনায়-৩ ও ঝালকাঠিতে ৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলীতে ১ জন করে ২ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে। যদিও এর আগে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ২ রোগির করোনা রিপোর্ট নেগিটিভ আসে।