শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য খুব বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর তার বোন রঙ্গোলি তো সমালোচনা করতে আরও বড় ওস্তাদ। তবে ‘ছপাক’ মুক্তি পাওয়ার পর দীপিকা পাড়ুকোনের প্রশংসা করেন দুই বোনই। তবে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে দীপিকার বিপরীত আদর্শের কথা জানালেন ‘কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা।
কিন্তু দীপিকার স্থানে তিনি থাকলে কী করতেন? এই প্রশ্নে কঙ্গনার জবাব, ‘আমি অবশ্যই ওখানে যেতাম না। দাঁড়াতাম না ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’য়ের পাশে। যারা দেশ ভাগ করতে চায়, তাদের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই। সেনাকর্মীরা মারা গেলে যারা উৎসব করে, তাদের কখনোই আমি ক্ষমতায়ন করতে চাই না।’
গত ৫ জানুয়ারিতে জেএনইউ-তে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভারতজুড়ে তুমুল সমালোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। ব্যতিক্রমী ঘটনা হলো, বলিউড তারকাদের মধ্য থেকে একমাত্র দীপিকা পাড়ুকোন ওই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সামিল হন। যদিও তিনি এ বিষয়ে বিশেষ কোন বক্তব্য রাখেননি। ধারণা করা হয়, ১০ জানুয়ারি দীপিকা অভিনীত ও মেঘনা গুলজার পরিচালিত সিনেমা ‘ছপাক’র মুক্তিকে সামনে রেখে আরও প্রচারের আলোয় আসার জন্য এ কাজ করেন দীপিকা।
দীপিকার জেএনইউ যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছিল সামাজিক মাধ্যমে। ট্রেন্ড উঠেছিল ‘আই সাপোর্ট দীপিকা’। পাল্টা ট্রেন্ড হয়েছিল ‘বয়কট ছপাক’। এই দুই ট্রেন্ডের টানাপড়েনে বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেনি ‘ছপাক’। সমালোচকরা মনে করেন, ছবি মুক্তির তিন দিন আগে দীপিকার জেএনইউতে যাওয়া ‘ব্যাকফায়ার’ হয়ে লেগেছিল তার ক্যারিয়ারে।
যদিও সে কথা মানতে নারাজ কঙ্গনা। তার মতে, ‘টুইটারে ভারতের জনসংখ্যার খুব অল্পই মানুষ রয়েছেন। তাই দীপিকার জেএনইউ যাওয়া নিয়ে টুইটার-ট্রেন্ডের সঙ্গে ছবি ফ্লপ হওয়ার কোনও যোগাযোগ নেই।’