মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ৫ ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র্যাব ৮।
সোমবার পৌরসভা এলাকা এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে শামীম আকন, জনতা ডেন্টাল কেয়ারের ফাইজুল হক রানা, মডার্ন ডেন্টাল কেয়ারের বাবুল হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশ, জসীম উদ্দিন শাহীন ও আব্দুর কাদির হাওলাদারকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে আব্দুর কাদির হাওলাদার আটক শামীম আকণের ক্লিনিক ভবনের মালিক।
সোমবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব ৮ জানায়, আটককৃতরা সহজ সরল মানুষকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে আসছে যা খুবই বিপজ্জনক। তারা তাদের স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং মোবাইল কোর্টের সামনে তাদের দোষ স্বীকার করে।
মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন খন্দকার আটককৃত শামীম আকনকে ২ বছরের জেল, মোঃ ফাইজুল হক রানাকে ৬ মাসের ,মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশকে ৬ মাসের, জসিম উদ্দিন শাহীনকে ৪ মাস ও মোঃ বাবুল হোসেনকে ২ মাস এবং আব্দুল কাদির হাওলাদারকে শামীম আকনকে বাসা ভাড়া দিয়ে উক্ত কাজে সহযোগিতা করার দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অভিযানে ৫ জন ভূয়া ডাক্তারের ৫টি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়।
র্যাব জানায়, শামীম আকন বহুদিন ধরে জাব দিয়ে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগানোর মত চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে সে গাছগাছালি ছাড়াও গরুর মূত্র চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইট দিয়ে ভাঙ্গা হাত বা পায়ে টানা দেয়। তার কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরেও সে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসা করে। তার ক্লিনিক থেকে ৫ জন রোগীকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। অন্য সব ভূয়া ডাক্তার অবৈধভাবে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল।
অভিযানে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: এ এইচ এম ফাহাদ সহযোগিতা করেন।