বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নির্যাতিত ত্যাগীরাই আগামীতে নেতৃত্বের দাবীদার ।। নেছার উদ্দিন জাফর বাউফলে ঘাতক ট্রলি আবারও কেড়ে নিলো একটি তাজা প্রান, চালক আটক সভাপতি জাহিদ রিপন, সম্পাদক আকাশ।।  মহিপুর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন কুয়াকাটায় ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির ‘গিনি “অ্যাঞ্জেল ফিশ মহিপুরে জেলে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের হত্যা মামলার আসামি কলাপাড়ায় গ্রেফতার কলাপাড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা কুয়াকাটার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার মহিপুরে অবৈধভাবে খাল ভরাট, ভ্রাম্যমান আদালতের হানায় পাইপ বিনষ্ট, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান স্বেচ্ছাসেবক দলে হবেনা ।। নেছার উদ্দিন জাফর বগা ফেরিতে চলছে বকশিসের নামে চাঁদাবাজি,ভোগান্তিতে পরিবহন চালক কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উদযাপন রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার’র দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

Sharing is caring!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় এবারে বরিশালের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির লাল দত্ত’র নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে এ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের রাজাকারদের নাম নিয়ে প্রকাশিত তালিকার ২২ নম্বর পাতায় ৯৪ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে রাজাকার হিসেবে। সেখানে তার বাবার নাম জিতেন্দ্র দত্ত ও ঠিকানা আগরপুর রোড উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত বলেন, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নম্বর- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সাময়িক সনদ নম্বর- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত আরও বলেন, আমার বাবা, দাদাসহ পরিবারের ৫ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে ২ জন শহীদ হয়েছেন। রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম প্রকাশিত হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও হতাশ।

পরিবার সূত্র জানায়, মিহির লাল দত্ত ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা অ্যাড. জিতেন্দ্র লাল দত্ত, মা শোভা রানী দত্ত। শিক্ষাজীবনে তিনি এম.এ (বাংলা), এম.এ (ইংরেজি), এম.এ ও এল.এল.বি ডিগ্রি নেন। সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারা বাবা জিতেন্দ্র লাল ও মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিহির লাল দত্ত।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, তালিকায় ভুল হতে পারে, সংশোধনের সুযোগও থাকবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD