সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযান: জব্দ  হলো অবৈধ ভ্যাকু পটুয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঠেকাতে হাদী হত্যাকাণ্ড -রহমাতুল্লাহ শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাতীয় শোক: পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী স্কুলে উৎসবের ধৃষ্টতা হাদীর মৃত্যু’তে সারাদেশে শোকের ছায়া-পটুয়াখালীতে জামায়াত নেতা আন-নাহিয়ান এর অনুমতিতে কনসার্ট পিপলস রাইট ফাউন্ডেশনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে কুয়াকাটায় বিক্ষোভ। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান নলছিটিতে শোকের মাতম বরিশালে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদল নেতা আহত ইসলামিক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়নে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা নগরীতে ফের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী নাক কাটা রুবেল বরিশালে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও যুব র‌্যালি সহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করেছে জামায়াত কলাপড়ায় নৈশপ্রহরী আব্দুল মান্নান ফরাজীকে শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা
বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

Sharing is caring!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় এবারে বরিশালের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির লাল দত্ত’র নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে এ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের রাজাকারদের নাম নিয়ে প্রকাশিত তালিকার ২২ নম্বর পাতায় ৯৪ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে রাজাকার হিসেবে। সেখানে তার বাবার নাম জিতেন্দ্র দত্ত ও ঠিকানা আগরপুর রোড উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত বলেন, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নম্বর- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সাময়িক সনদ নম্বর- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত আরও বলেন, আমার বাবা, দাদাসহ পরিবারের ৫ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে ২ জন শহীদ হয়েছেন। রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম প্রকাশিত হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও হতাশ।

পরিবার সূত্র জানায়, মিহির লাল দত্ত ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা অ্যাড. জিতেন্দ্র লাল দত্ত, মা শোভা রানী দত্ত। শিক্ষাজীবনে তিনি এম.এ (বাংলা), এম.এ (ইংরেজি), এম.এ ও এল.এল.বি ডিগ্রি নেন। সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারা বাবা জিতেন্দ্র লাল ও মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিহির লাল দত্ত।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, তালিকায় ভুল হতে পারে, সংশোধনের সুযোগও থাকবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD