বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

Sharing is caring!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় এবারে বরিশালের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির লাল দত্ত’র নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে এ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের রাজাকারদের নাম নিয়ে প্রকাশিত তালিকার ২২ নম্বর পাতায় ৯৪ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে রাজাকার হিসেবে। সেখানে তার বাবার নাম জিতেন্দ্র দত্ত ও ঠিকানা আগরপুর রোড উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত বলেন, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নম্বর- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সাময়িক সনদ নম্বর- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত আরও বলেন, আমার বাবা, দাদাসহ পরিবারের ৫ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে ২ জন শহীদ হয়েছেন। রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম প্রকাশিত হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও হতাশ।

পরিবার সূত্র জানায়, মিহির লাল দত্ত ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা অ্যাড. জিতেন্দ্র লাল দত্ত, মা শোভা রানী দত্ত। শিক্ষাজীবনে তিনি এম.এ (বাংলা), এম.এ (ইংরেজি), এম.এ ও এল.এল.বি ডিগ্রি নেন। সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারা বাবা জিতেন্দ্র লাল ও মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিহির লাল দত্ত।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, তালিকায় ভুল হতে পারে, সংশোধনের সুযোগও থাকবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD