শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন। সাধ্য অনুযায়ী কেউ একক আবার কেউ ভাগে পশু (গরু) কিনেছেন কোরবানির জন্য। তবে গোটা জেলায় গরু ও ছাগলের বাহিরে অন্য কোন ধরণের পশু জবাই দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী সকাল ৯ টার মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোশেনসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকায় পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে, আর এখন চলছে মাংস কাটা-কাটির কাজ। পেশাদার কসাই, মৌসুমি কসাইয়ের পাশাপাশি অনেকে নিজেরাই তাদের জবাইকৃত গরু-ছাগলের মাংস কাটা-কাটি করছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ঘোষিত ১৪২ টি নির্দিষ্ট স্থান ছাড়াও নগরের পাড়া মহল্লার অলিগলিতে ও বসত বাড়ির সামনে পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকেই। তবে বিগত সময়ের থেকে এবারে ব্যক্তিগত স্থানের থেকে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। এরফলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সহজত্বর হবে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত স্থানের পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ৯ শতাধিক শ্রমিক দুপুর থেকে কাজ শুরু করবেন। আর সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টার মধ্যে নগরের বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান ও ভ্যাটেনারি কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নগরবাসীর সবিদার্থে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির জন্য ৫ বছর ধরে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দিনে দিনে নির্দিষ্ট স্থানের পরিমান যেমন বাড়ছে, আবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দাতার সংখ্যা বাড়ছে।