শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন। সাধ্য অনুযায়ী কেউ একক আবার কেউ ভাগে পশু (গরু) পশু কিনে দিয়েছেন কোরবানির। তবে পশুর চামড়ার আশাব্যঞ্চক দর পাননি কেউই। আর তাই তুলনামূলক গতবারের থেকে এবারে মাদ্রাসায় ফ্রি চামড়া দিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বেশি। আর মাদ্রাসার সংগ্রহে চামাড়া থাকলেও তারাও ১২০-২ শত টাকা ওপরে কোন চামড়াতেই দর পাচ্ছেন না। ফলে তারাও হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং যতো দ্রুত পারছেন চামড়াগুলো পাইকারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বরিশাল নগরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা আদনান জানান, বছরে বছরে গরুর দাম বাড়েছে, কিন্তু সে তুলনায় শুধু চামড়ার দাম কমছেই। আর এ কারণে আগের মতো পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এবারে কাউকে চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। যাও বা কিছু লোকের সাথে যোগাযোগ হয়েছে, তারা বড়-ছোট হিসেব না করে চামড়া প্রতি ১৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বলছেন। তিনি বলেন, দেড়-২ হাজার টাকায়ও যেখানে চামড়া বিক্রি হয়েছে সেখানে ১৮০ টাকা, ভাবাই যায়না। তাই ভাগের সবাই মিলে চামড়া গ্রামের বাড়ির মসজিদে দিয়ে দিয়েছেন। নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার মাসুদ সিকদার বলেন, চামড়ার দর নেই, তেমন কেউ কিনছেনও না। বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় চামড়াটি ফ্রি দিয়ে দিয়েছেন। এখন যদি মাদ্রাসা ওয়ালারা কিছু পায়। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও হতাশা প্রকাশ করেছেন। নগরের দক্ষিন আলেকান্দা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, এবার তেমন কারোরই চামড়া নেয়ার আগ্রহ নেই। দাম ১২০- ১৮০ টাকার ওপরে কেউ বলছে না। খালেদাবাদ কলোনীর একটি মাদ্রাসার লোকজন ১৮০ টাকায় তাদের সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরাও আগে থেকে একজনের সাথে যোগাযোগ করে রেখেছিলামা। তিনিও বেশি দর দিয়ে নিতে রাজি নন। যারা এখন পর্যন্ত আমাদের মাদ্রাসায় চামড়া দেখতে এসেছেন তারা আকার আকৃতি না দেখে পিস প্রতি গড়ে ২ শত টাকার ওপরে দিতে চাননি। এখন ঠিক করেছি দিয়ে দিবো, পরে যদি কেউ নিতে না চায় তবে আমাদের শ্রমটাই বৃথা। নগরের নবগ্রাম রোডের একটি মাদ্রাসার সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ চামরার ভালো দর ওঠাতে পারেন নি। তবে গতবারের থেকে এবারে মাদ্রাসায় ফ্রি চামড়ার সংগ্রহ বেড়েছে। মাদ্রাসা ওয়ালারাও ভালো দাম পাবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে চৌমাথা ও নবগ্রাম রোড এলাকায় কিছু কিছু মাদ্রাসা সর্বোচ্চ ৪ শত টাকায় চামড়া বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।