বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
খুনি হাসিনার বিশ্বস্ত আস্থাভাজন এবং গুম খুনের মাস্টার মাইন্ড তারেক সিদ্দিকীর সব অপকর্মের সহযোগী আবদুস সালামের নেতৃত্বে তার ভাই মো. আব্দুল কাদের শামিম পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য অপরভাই এম এ বাকিকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড নিউ সার্কুলার রোড পেশকার বাড়ির বাসিন্দা এম এ বাকি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল-৫ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সিটি মেয়রের সাথে আ.লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন শামিম।
অপর ভাই আঃ হাই লাকি হলেন- আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ভাইয়ের মেয়ে জামাই। আরেক ভাই আব্দুল রাকিবের আপন ভায়রা হলেন- বিডিআর হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ৪৪ ব্যাটেলিয়ান এর কমান্ডার লেফটেন কর্নেল সামস্।
যারা বর্তমানে পলাতক।
লিখিত বক্তব্যে এম এ বাকি বলেন, আমার পিতা মৃত আব্দুল আজিজ জীবিত থাকা অবস্থা গত ৩১/০৭/১৯৮৩ সালে প্রথম শ্রেণী ম্যাজিস্ট্রট আদালতে দায়েরকৃত একটি হলফনামায় উল্লেখ করে যান- “কাউনিয়া পুরানপাড়া মৌজার বিসিকের কাছ থেকে ছাড়ানো ১ একর ৩৮ শতাংশ জমি আমার পঞ্চম ও সপ্তম পুত্রদ্বয়কে মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম শহিদ ও মোহাম্মদ আব্দুল হাই লাকি এই দুই জনকে দলিল করে দিয়েছি।
তাদের কাছ থেকে আমি কোনো টাকা গ্রহণ করিনি। উক্ত ১ একর ৩৮ শতাংশ জমিতে আমার ২য় পক্ষের স্ত্রীর ৫ ছেলে মোহাম্মদ আদুস ছালাম শহিদ, মো. আব্দুল বাকি, মো. আ. হাই লাকি, মো. আব্দুল কাদের শামিম ও আব্দুল রাকিব এরা ৫ জনে সমান অংশ পাবে।
মো. আবদুস সালাম শহিদ ও মো. আ. হাই লাকি অন্য তিনজনকে দলিল করে দিতে বাধ্য থাকবে।”
আমার আপন বড় ভাই মো. আব্দুস সালাম কানাডা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পলাতক খুনি শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ।
বিগত আ.লীগ আমলে ক্ষমতার প্রভাবে তিনি আমাকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে আসছে। বাবার দেয়া হলফনামা অনুযায়ী সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়নি।
আমার ভাই সালামের বন্ধু হলেন ফারুকী হাসান। তার ঢাকা গুলশান-২ তে ‘হোটেল লেক ক্যাসেল’ নামক হোটেল রয়েছে। ২০২২ সালে আমার ভাই ওই হোটেলে আমাকে ডেকে নিয়ে ওই জমি দাবি না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তখন আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাইনি। তখন আমি প্রাণের ভয় সহ দুই সন্তান ঢাকা নটরডেম কলেজে লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ ভেবে চুপ হয়ে যাই। প্রায় ১৬ বছর ধরে এসব নির্যাতন সহ্য করে আসছি।
পরবর্তীতে জুলাই— ২৪ গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনাসহ যখন আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তখন সালামও ঢাকা থেকে পালিয়ে কানাডা চলে যায়।
পরে আমি আমার দাবিকৃত জমিতে মাছ চাষ করি এবং একটি সাইনবোর্ড দেই। দেশে থাকা অপর ভাই শামিম আমার দেওয়ার সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে এবং চাষকৃত মাছের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করে।
কানাডায় বসে সালামের এর নির্দেশ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম করে যাচ্ছে শামিম। এমনকি আমার বিরুদ্ধে শামিম বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আমলী আদালতে গত ০৮/০৫/২০২৫ তারিখে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল কাউনিয়া থানার এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান গত ০৪/০৯/২০২৫ তারিখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
যাতে উল্লেখ থাকে, মামলার ধারা অনুযায়ী তদন্তে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বিধায় বিবাদী এম এ বাকিকে অত্র মামলা হতে তাকে অব্যাহতির প্রার্থনা করেন। তাছাড়া এ পর্যন্ত প্রায় ৮/১০ টি মামলা দিলেও সব মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
আমার পিতা-মাতা ও বড় ভাইবোন কেউ জীবিত না থাকায় উক্ত বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
তাই আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের পাশাপাশি ভাইদের মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।