কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের নাচনাপাড়া এলাকার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রমেশ চন্দ্র হাওলাদার সহ চার সংখ্যা লঘু পরিবারের জমি দখলের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
ভুয়া দলিল ও পর্চা সৃস্টি করে ১.৩২ একর জমি অবৈধ দখলে নেয়ায় উক্ত জমি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রার্থনা করে বুধবার দুপুর ১২ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে দুলাল চন্দ্র হাওলাদার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল হালদার বলেন, ‘বিগত ৪১ বছর ধরে কলাপাড়া পৌরশহর সংলগ্ন ০২ নং টিয়াখালী ইউনিয়নের ০১ নং নাচনাপাড়া ওয়ার্ড এর খেপুপাড়া মৌজার ০৬ নং জেল এল, এস এ খতিয়ান ২৬৪, দাগ নম্বর ৫৩৭ এর ১৯৮৩ ও ৮৪ সালে খরিদসূত্রে ০১ (এক) একর ৩২ শতাংশ জমি হাল বিএস করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছি।
উক্ত জমিতে প্রভাবশালী এক নেতার মদদে ভূমিদস্যু রুহুল আমিন গত ১৮ মার্চ ২৫-৩০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল নিয়ে মাটি কেটে জমির আকার, আকৃতি পরিবর্তন করে এবং বাঁশ ও নেট দ্বারা বেড়া দিয়া তাহাদের দখলে নেয়।
ঘটনার পর কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবগত করলেও প্রতিকার মেলেনি । পরদিন ১৯ মার্চ মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিদস্যুরা পুন:রায় আমাদের কৃষি জমি তাদের দখলে নিতে বালুভরাটের উদ্দেশ্যে ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করে।
আমরা বাঁধা দিলে ভূমি দস্যুরা আমাদের জীবনের তরে শেষ করে দেয়া সহ দেশ ত্যাগের হুমকি প্রদান করে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জবর দখল ও ভূমিদস্যুতার একাধিক অভিযোগ ও মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে।
অভিযুক্ত র-রুহুল আমিন বলেন, তিনি ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তার আছে।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।