সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আইপিএম পদ্ধতিতে বেগুন উৎপাদন শীর্ষক ‘কৃষক মাঠ দিবস সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টায় উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া হাইস্কুলের মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএস এআইডির অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসানা আক্তার রুনা এবং আইপিএম অ্যাক্টিভিটির মাঠ সহায়ক মো. মাহবুব আলম।
আয়োজকেরা জানান, সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতিতে বিষমুক্ত বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কৃষকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রথমবারের মতো বেগুন চাষে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা।
মিঠাগন্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামের বেগুন চাষি আশরাফ আলি হাওলাদার বলেন, ‘আমি জমিতে নিরাপদ উপায়ে বেগুন চাষ করেছি। সেখানে কোনো ধরণের রাসায়নিক স্প্রে করিনি, ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
আগামীতেও নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদন করবো। ‘ কৃষক মাঠ দিবসে অংশগ্রহনকারী অপর কৃষেক ইউনুচ মিরা জানান, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করার কারণে ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় খরচ অনেক কম হয়েছে।
এমনকি ফলনও অনেক সন্তোষজনক হয়েছে। অল্প খরচে এসব সবজি উৎপাদন করতে পেরে খুশি প্রান্তীক কৃষকরা। প্রধান অতিথি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে বেগুন উৎপাদনের জন্য মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে বিটি বেগুনের চাষ হচ্ছে।
এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই বেগুন উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে বেগুন চাষের জন্য কৃষকদের মোটিভেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং জনগণকেও সচেতন করা হচ্ছে। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে রাসায়নিক কীটনাশকের পরির্বতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ, নীল, সাদা আঠালো ফাঁদ, মালচিং পেপার, জৈব বালাইনাশক-লাইকোম্যাক্স, ডায়নামিক, বায়োডার্মা, ট্রাইকোকম্পোষ্ট , ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন। প্রকল্পভুক্ত কৃষকেরা নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এসকল উপাদান স্থানীয় ভাবে পাচ্ছেন।
এসব ব্যবহার পদ্ধতির ওপর কৃষক-কৃষাণীদের সার্বিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেখানো হয়েছে ফাঁদ স্থাপনের কলা-কৌশল।