শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরিশালের বাকেরগঞ্জে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন (৪০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপুর এলাকার তৌকির মোল্লা (২২), রাতুল মোল্লা (২০) ও মহিউদ্দিন মোল্লা (৪৩)।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নগরের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাকেরগঞ্জের ইছাপুর এলাকায় ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সড়ক সংলগ্ন একটি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ জেলা ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান শুরু করে।
পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে তৌকির মোল্লার বাসা থেকে চাপাতি, রাতুল মোল্লার বাসা থেকে ছুরি, চাপাতি ও উভয়ের তথ্য অনুযায়ী মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।
অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সোপর্দ করে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড চাওয়া হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেটুকু জানা গেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে।
আবার ঘটনার সময় একাধিক দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশে থাকলেও চারজন হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করে। যার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন রয়েছে। এমনকি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সময় দুর্বৃত্তদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে নিজেদের ছুরির আঘাতে গ্রেপ্তার রাতুল মোল্লা গুরুতর জখম হন। যাকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসার আওতায় আনতে হয়েছে পুলিশকে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাকে হত্যা করা হয়েছে তার নামে ১২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অপরদিকে তৌকির মোল্লার নামে দুটি, রাতুল মোল্লার নামে তিনটি ও মহিউদ্দিন মোল্লার নামে চারটি মামলা রয়েছে।