বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: যেখানে সিনেমা শেষে দর্শক বের হয় আনন্দণ্ডউল্লাসের মধ্যদিয়ে, সেখানে মলিন মুখে বের হয়েছে দর্শক। কাউকে চোখ মুছতে মুছতে বের হতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার সিনেমা হলের মধ্যে বসেই হাউমাউ করে কেঁদেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর অভিরুচি সিনেমা হলে। আর ওই হলে ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। প্রথম পর্যায়ে তিনি (আতিক) বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সাতশ’ গ্রামবাসীকে নগরীতে এনে ঐতিহাসিক এ সিনেমাটি দেখিয়েছেন।
এ সময় বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধিগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সিনেমাটি উপভোগ করেন।
সিনেমা শেষে একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুু সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি মা-বাবা ও এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। কিন্তু ওইসময় এতোটা অনুভব করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে। যখন সিনেমাটি দেখলাম তখন আমাদের চোখ পানিতে ভিজে গেছে।
যে মানুষটি আমাদের একটি পতাকা ও মানচিত্র উপহার দিয়েছেন। সেই মানুষটিকে কি নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল না থাকায় শহরে এসে সিনেমাটি উপভোগ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলনা।
কিন্তু শিক্ষানুরাগী আতিকুর রহমান আমাদের এই সুযোগ করে দেয়ায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিলন ও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু বলেন, এ সিনেমাটি আরো আগে নির্মান করা উচিত ছিল। তারপরেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিনেমাটি বয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সের শিক্ষার্থীরা উপভোগ করে আসল তথ্য জানতে পেরেছে।
এটা তাদের হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছে। বাবুগঞ্জ ও মুলাদী থেকে সাত’শ দর্শনার্থীদের বরিশাল শহরে এনে সিনেমা দেখানো এবং পরবর্তীতে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ছয়টি বাস ও শতাধিক মোটরসাইকেল ভাড়া করেছিলেন সমাজসেবক আতিকুর রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আতিকুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানেই বাংলাদেশ। তাকে নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম নানাকাহিনী শুনেছে।
কিন্তু সেই কাহিনীর বাস্তবতা কোনভাবেই তাদের সামনে আসেনি। সামনে এসেছে কিছু ছবি এবং ধানমন্ডি যাদুঘরে রক্ষিত তার কিছু স্মৃতি। কিন্তু এ সিনেমা আমাদের প্রজন্মের চোখ খুলে দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। আমরা পেতাম না একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।