বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে শিশু আন্নিকা আক্তার মায়াকে (৯) অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসামি পলাশ শেখকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী নগর পুলিশের শাহ মখদুম ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে ভোর ৪টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার মাদরাসা মোড় থেকে আসামি পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোর পৌনে ৬টার দিকে রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রামের একটি পুকুর থেকে নিহত শিশু আন্নিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ শেখ নগরীর শাহ মখদুম থানার বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার শাহীন আলীর ছেলে। সে নওদাপাড়া বাজারে একটি খাবার হোটেলে কাজ করত। নিহত শিশু আন্নিকা আক্তার মায়া নগরীর শাহ মখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে আন্নিকা আক্তার মায়া নওদাপাড়ায় তাদের বাড়ির নিকটবর্তী দাদির বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কোথাও না পেয়ে ঘটনার পরের দিন শিশুর বাবা শাহ মখদুম থানায় একটি জিডি করেন।
তিনি বলেন, জিডির পর শাহ মখদুম থানার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এ এইচ এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে শাহ মখদুম থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে। রোববার নওদাপাড়া বাজারে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি পলাশ শেখকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে যায় পুলিশ। তার বাবা-মা জানায় দুই মাস আগে পলাশকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর আসামি পলাশ তার ভাই শান্তর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। এরই সূত্র ধরে পুলিশ পলাশ শেখকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানায়, শিশু আন্নিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে রেখেছে। শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যায় সে একাই জড়িত।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে শাহ মখদুম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।