রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
মোঃহাফিজুল ইসলাম শান্তঃ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূল জুড়ে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। ফলে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ১২২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী ও কলাপাড়া রাডার স্টেশন। নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে ভোগান্তিতে পরেছে নিম্ম আয়ের মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসার খবরে উপকূলের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চর সমুহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কলাপাড়া রাডার স্টেশন ৭০ ও পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস ৫৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র আঘাত হানার আশংকায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষাসহ পরবর্তীতে সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় রবিবার প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য মানুষের জানমাল রক্ষা, আঘাত হানার পূর্বে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদে কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়াসহ পরবর্তী সকল ধরনের উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, শুকনা খাবার এবং নগদ অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের জানমাল নিরাপত্তাসহ সকল বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগীতা করবেন।