শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভূইয়া বাহিনীর আদি পৈত্ত বিস্তারের রেষে প্রাণ দিলো নুরু খান(৬০)। জমি সংক্রান্ত জেরে মান্নান ভূইয়ার নির্দেশে তারই ছেলে রনি ভূইয়া বাহিনীর পরিকল্পিত হামলায় নুরু খাঁন নামের এ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
এসময় নুরু খাঁনের ছেলে নোমান সহ তার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখা হয়। গতকাল রাত আটটার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের মুজিব নগর দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রনির বাবা মন্নান ভূইয়ার সঙ্গে নুরু খাঁন সহ অত্র এলাকার লোকদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গতকাল রাতে ভূইয়ার সুইস বাজারে মান্নান ভূইয়ার আদেশে রনি ভূইয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে নুরু খানের ছেলে নোমান ও ভাতিজা রাসেলসহ নুরু খানের উপর আক্রমণ করে।
ঘটনা স্থলে পিটায়ে কুপিয়ে জখম করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে আহত নুরু খানকে জখম অবস্থায় টলিতে করে মুজিব নগর দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশের চৌরাস্তার দিকে নিয়ে যায়। দশটি মারাত্মক জখম অবস্থায় নুরু খাঁনের মৃত দেহটি পরে থাকতে দেখা যায়। নুরু খানের উপর হামলার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে পুলিশ ও লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তবে নুরু খানকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া না গেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আনা হয়। আহতদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে মান্নান ভূইয়ার সাথে নুরু খানদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমি শোনা মাত্র পুশিল ঘটনা স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তবে দশটি মারাত্মক জখম অবস্থায় নুরু খাঁনের মৃত দেহটি মুজিব নগর দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশের চৌরাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মধ্যরাতেই নুরু হত্যার সাথে জড়িত পাঁচ জনকে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মো. সুমন সরদার (২২) পিতাঃ আমির হোসেন, জুয়েল খান (২২) পিতাঃ দেলোয়ার খান সাং – মুজিব নগর, আমির হোসেন ভুট্ট (৫০) পিতাঃ কাঞ্চন ফরাজি, ফরিদ বেপারী (২৫) পিতাঃ ভুট্ট বেপারী, নুর নাহার (২৭) পিতাঃ মোঃ কুদ্দুস সাং- বড় শিবা, ৮ নং ওয়ার্ড। সর্ব থানা- দুলারহাট, জেলা- ভোলা। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে আর নুরু খানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।