শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ নয় বাঁধ চাই এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া চান্দুপাড়া বাঁধের কালা মিয়ার স্লুইজের উপর এ মানববন্ধনে অংশ নেয় শতশত নারী-পুরুষ। এসময় রাবনাবাদ নদী ভাঙ্গনে বিলীন চান্দুপাড়া বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানান বক্তারা।
জানা গেছে, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে লালুয়া ইউপির চাড়িপাড়া, চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, বড় পাঁচনং, ছোট পাঁচনং ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এ কারণে বন্ধ হয়ে যায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। ভেঙ্গে পড়ে স্যানিটেশণ ব্যবস্থা। দেখা দেয় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘ বছর ধরে ভাঙ্গা এই বাঁধের কারনে এই ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এর আগে এ জলাবদ্ধতার মধ্যে রাস্তা ও সাঁকো পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে ছয় বছরের শিশু রনি বিশ্বাস ও ১৪ মাসের শিশু জুলাইফা মারা গেছে। এছাড়া বাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বাড়লেই প্রায় ১২শ একর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এ বছর আমন চাষাবাদ শুরু হলেও গত ১৫ দিনের স্থায়ী জলাবদ্ধতায় প্রায় একশ একর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী দাবি করে আরও বলেন, আমরা কোন ত্রাণ চাই না। আমরা চাই, চর চান্দুপাড়া গ্রামের ভাঙ্গা বাঁধটি অতি দ্রুত মেরামত করা হোক। একই সাথে চান্দুপাড়া গ্রামে পানির চাপে ভেঙ্গে পড়া কালা মিয়ার চার ভেল্টের স্লুইজটি সংস্কার করা হোক। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চান্দুপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার জানান, চান্দুপাড়া বাঁধের বর্তমানে ১৮টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী অমাবশ্যার জোয়ারে পানি বাড়লেই এ ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ভেঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।