বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৩য় পর্যায়োর(২য় ধাপ) ৬৬টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে(‘ক’ শ্রেণিভুক্ত) জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ ঘর বিতরণ করবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ দরবার হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক প্রেস কনফারেন্স আয়োজিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহীদুল হক এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ূন কবির, উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে সমগ্র বাংলাদেশে নির্মিত হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দুই শতক জমির উপরে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে অসহায়রা পেয়েছে স্থায়ী ঠিকানা ও একখন্ড জমি। বাস্তুহারা থেকে উত্তরন ঘটেছে নিকেতনের। মুছে গেছে সুমিহীনের তকমা। নাগরিকত্ব হয়েছে সুদৃঢ়।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ভূমিহীনদের অগ্রাধিকার দিয়ে খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে শুধু একটি স্থায়ী ঠিকানাই নয়, প্রদত্ত বাড়িগুলো বেশ উন্নতমানের সরঞ্জাম দিয়ে আধুনিক ডিজাইনে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেমিপাকা প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দু’টো বেডরুম, একটা রান্নাঘর, একটা বাথরুম এবং প্রশস্ত বারান্দা। ঘরের উপরে লাগানো হয়েছে উন্নতমানের রঙিন টিনের চাল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ং পরিবীক্ষণে সম্পন্ন হচ্ছে দেশব্যাপী গৃহ নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ। প্রথম পর্যায়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে এ উপজেলায় ১ম পার্যায়ে ৪৫০ টি গৃহের বরাদ্দ পেয়েছে। পরবর্তীতে ০২ পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণির ১১০টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায় যা; ০২ ধাপে নির্মান সম্পন্ন করা হয়। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০ শে জুন ২০২১ খ্রি. তারিখে শুভ উদ্ভোধন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৩য় পর্যায়ে এ উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটি কর্তৃক ২০৩টি ঘরের অনুমোদন পাওয়া যায়। ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে সর্বশেষ ৬৬ জন উপকার ভোগীর চাহিদা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ধুলাসার ২২জন, ডালবুগঞ্জ ১০জন, মিঠাগঞ্জ ১৭জন, টিয়াখালী ০৯জন, লালুয়া ৪ এবং বালিয়াতলী ৪জন উপকারভোগী। সবগুলোই উদ্ধারকৃত খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যেই কলাপাড়া উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করা যাবে মর্মে উপজেলা প্রশাসন আশাবাদী।
তিনি আরও জানান, সারা বিশ্বে মানবিকতায় অনন্য নজির এবং উদাহরণ বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই মহতী উদ্যোগে সামিল হতে পেরে উপজেলা প্রশাসন, কলাপাড়া গর্বিত। গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর এই মহা কর্মযজ্ঞে অংশীজন হতে পেরে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মানবতার মা হিসেবে অভিহিত বিশ্বনন্দিত নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ মুহিববুর রহমান, এমপি, ১১৪, পটুয়াখালী-৪ এবং এস এম রাকিবুল আহসান, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কলাপাড়া, এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট জনপ্রিতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দকে। এছাড়াও আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে যারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই মহাযজ্ঞ সম্পাদনে সামিল হয়েছেন তাদের প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞাতা ও নিরন্তর শুভেচ্ছা।