রবিবার, ০১ Jun ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ পটুয়াখালী ড্রাইভারস এন্ড সঃ-কঃ- কল্যান কো-অঃ ক্রেঃ ইউঃ লিঃ এর ৩৭’তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজে ‘সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে দুমকিতে (এইচবিবি) প্রকল্পের কাজে অনিয়ম দূর্নীতি-(ইউএনও)-(পিআইও) এর নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ উফলে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ও মাতৃত্ব দিবস পালিত সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনের প্রতিবাদ ও ইউএনও অপসারনের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় বৃদ্ধকে কোপানোর ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কলাপাড়ায় দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা কলাপাড়ায় নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে জেলে বধূর মৃত্যু ভিপি সম্পত্তি মালিকানায় রূপান্তর চেষ্টায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পটুয়াখালী গলাচিপায় রামনাবাদ নদীর উপর অতি দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি মধ্যস্থলে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন গলাচিপায় রামনাবাদ সেতুর দাবিতে সর্বস্তরের জনগণের মানববন্ধন পটুয়াখালীতে ভিজিএফ ভিজিডি চাল বিতরনে সময় টাকা আদায়ঃ ইউপি সচিবকে অবরুদ্ধ
বিলীনের পথে জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর শেষ স্মৃতিচিহ্ন

বিলীনের পথে জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর শেষ স্মৃতিচিহ্ন

Sharing is caring!

এস এল টি তুহিন : সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে একেবারেই নিশ্চিহ্নের পথে পটুয়াখালী শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারিবাড়ি। অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ইতিহাসের কালেরসাক্ষী এই কাছারি বাড়িটি।

বেশ কয়েক বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এই ভবনটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে তাদের আর কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। ইতিহাসের সাক্ষী জমিদারি আমলের এই কাছারিবাড়ি অবিলম্বে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে অচিরেই।

জানা যায়, জমিদারীর কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে শহরের নতুন বাজার এলাকায় ২৫০ বছর পূর্বে এই কাছারি বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। ২৫০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য বিজড়িত এই কাছারিবাড়িটি বেশ কয়েক বছর ধরে অবেহেলায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে শহরের বুকে। জেনো কথা বলার কেউ নেই।

বছরের পর বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থেকে এখন ভূতের বাড়ির মতো রূপ নিয়েছে পটুয়াখালীর শেষ দাপুটে জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়ি।

পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর শেষ স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত জমিদারী আমুলের এই ভবন এই অঞ্চলের নানা ইতিহাসের কাল সাক্ষী। সংস্কারের অভাবে দিনে দিনে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে আমাদের পূর্ব ইতিহাস। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানাই থেকে যাচ্ছে ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠা।

শহরের একোয়ার স্টেট নামে পরিচিত এই কাছারি বাড়ি এলাকার একাংশ ক্রমান্বয়ে নানা কৌশলে বেহাত হয়ে গেছে। জমিদারদের স্থাপিত মন্দির পাষানময়ী কালীবাড়ি স্থানীয়দের দান-অনুদানে সংস্কার করে সেখানে নিয়মিত পূজা-অৰ্চনা চলে আসছে।

এই প্রাচীন কাছারি বাড়ির ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়া

আবশ্যক বলে মনে করেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। তিনি বলেন, জমিদারী আমলের এই স্থাপনা যদি এখনো সংস্কারের মধ্য দিয়ে সংরক্ষণ করা না হয় তবে ইতিহাসের কাল সাক্ষী এই কাছারি বাড়ি অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। অতিদ্রুত জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়িটির সংস্কার করা জরুরী।

বিলুপ্তির পথে হলেও এখনও এই প্রাচীন স্থাপনায় ইতিহাসপিপাসু বহু মানুষের পদচারনা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে লক্ষ্য করা যায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। বহু শিক্ষার্থী ঘুরতে আসেন জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়িতে। জানতে চায় এর ইতিহাস। তবে বড় পরিতাপের বিষয় সবাইকেই ফিরে যেতে হতাশ হয়ে।

সিরাজ উদ্দীন আহমেদের লেখা ‘বরিশালের ইতিহাস ও ইয়াকুব আলী সিকদারের প্রবন্ধ ‘পটুয়াখালীর অতীত ও বর্তমান থেকে পাওয়া তথ্য ও আরও বেশ কিছু তথ্য অনুযায়ী,

১৮১৭ সালে বরিশালকে পৃথক করে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য স্থাপন করা হয় চারটি মুন্সেফী চৌকি। বাউফল চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালীকে উন্নীত করা হয় মহকুমায়। জমিদার হৃদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের গ্রামের নামকরণ করা হয় কালিকাপুর।

এখানে গড়ে ওঠে পটুয়াখালী শহর। কলসকাঠির জমিদার বরদা কান্ত রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী ১২৯৬ বঙ্গাব্দে পটুয়াখালী মহকুমার অধীন কালিকাপুর কিসমতের বন্দ্যোপাধ্যায় মুদাফা তালুকটি কিনে নেন। এই অঞ্চলের সর্বশেষ জমিদাররা ছিলেন বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরীর চার ছেল।তার মধ্যে রাজেশ্বর রায় চৌধুরী পটুয়াখালীর জমিদারী পরিচালনা করেন। প্রবল দাপটের সঙ্গে পটুয়াখালীর শেষ জমিদারি পরিচালনা করেন জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরী।

পটুয়াখালীতে নির্মাণ করা হয় কাছারি বাড়ি, এখানে তাদের জমিদারীর হাউলিও ছিল।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD