বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইম সিন ডেস্ক: দেশ-জাতির কল্যাণ এবং বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী বয়ান শেষে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় আখরী মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর সাহেব চরমোনাই ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এর আগে গত ২৫ ফেব্রায়ারি শুক্রবার বাদ জুমা আমিরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে ৩দিন ব্যাপী মাহফিল শুরু হয়।
আখেরি মোনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। পাপের কাজ পরিহার করে বেশী বেশী নেকের কাজ করার আহবান ও দেশ- জাতির কল্যাণ কামনা করা হয় মোনাজাতে।
এর আগে সমাপনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাদ ফজরের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আল্লাহর ওলীরা আখেরাতের চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। আর কিছু মানুষ দুনিয়া, দুনিয়ার সম্পদ ও খাবার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, একশ্রেণীর মানুষ আল্লাহর জিকির না করলে তাদের ভালো লাগে না। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের নাকি জিকির ও মাহফিল সহ্য হয় না, এরা বড়ই অদ্ভুত।
সরকারী দলের কোনো কোনো নেতা বলেন তাদের নাকি মাহফিলের আওয়াজ ভালো লাগলনা। এমন লোকদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেদায়েত দান করুন এই দুআ করি। তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের ক্বলব পরিস্কার করতে হবে।
আর এই ক্বলব পরিস্কার করতে হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখদের স্বরনাপন্ন হতে হবে। ক্বলব পরিস্কার না করে আখেরাতের জগত বড় কষ্টের হতে পারে। তিনি আরো বলেন, যার ভেতরে তাকাব্বুরী থাকবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের কথা অনুযায়ী তারা বেহেস্ত তো দূরের কথা বেহেস্তের ঘ্রাণ ও পাবে না।
তাই আমাদের সকলকে তাকাব্বুরী মুক্ত হতে হবে। চরমোনাই মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মধ্য থেকে ১৪ জন মুসল্লি ইন্তেকাল করেন। তন্মধ্যে মাহফিলে আসার পথে সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় ৪জন এবং ১০জন ষাটোর্ধ মুসল্লী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জানাজা শেষে তাদের মরদেহ নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়।